‘এর জেরেই বলিউড নিজের সর্বনাশ করছে’, ইন্ডাস্ট্রির ব্যর্থতা নিয়ে বিস্ফোরক অনুরা
দক্ষিণী ছবির চাপে এখন অনেকটাই কোণঠাসা বলিউড। করোনা পরবর্তী সময়ে একের পর এক স্টারের ছবি ফ্লপ। কেন দুর্দশা বলিউডের? পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের কথায়, ‘ব্যান্ডওয়াগন’-এ শামিল হওয়ার চেষ্টার জেরেই নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছে বলিউড। পাশাপাশি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে তার মৌলিকতা নষ্ট করছে।
‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ পরিচালকের কথায়, মরাঠি ছবি ‘সাইরাত’ মরাঠি সিনেমার সর্বনাশ করে ছেড়েছে। ‘সাইরাত’ নাগরাজের সামনেই একথা বলেন পরিচালক। নিজের মন্তব্যের ব্যাখা হিসাবে অনুরাগ বলেন, ‘সাইরাত হিট করল, হঠাৎ করে লোকজন মনে করল এই ব্যবসা থেকে প্রচুর রোজগার করা যায়। তাই সবাই ভালো ছবি বানানো বন্ধ করে শুধু সাইরাতের অন্ধ অনুকরণে মেতে উঠল। আর সাইরাত সরচেয়ে বেশি আয় করা মরাঠি ছবি হিসাবে আজও রয়েছে। ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি’।
অনুরাগ কশ্যপের শেষ রিলিজ ছিল ‘দোবারা’। সমালোচকরা এই ছবিকে পুরো নম্বর দিলেও তাপসী পাম্নু অভিনীত এই ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। অনুরাগ কশ্যপ বলেন, প্যান-ইন্ডিয়া ছবির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ধুঁকছে বলিউড।
পরিচালক বলেন, ‘প্য়ান-ইন্ডিয়া ছবি হিট হওয়ার এখন এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে সবাই ওই টাইপ সিনেমাই বানাবে। এতে সফল হবে ৫-১০%। কান্তারা,কেজিএফ ২, পুষ্পার মতো ছবি তোমাকে সাহস জোগাবে নিজের গল্পগুল তুলে ধরতে। কিন্তু যখন তুমি অন্ধ অনুকরণ করবে, সাজানোর চেষ্টা করবে, তখনই তোমার অধঃপতনের শুরু। আর এই বিষয়টাই অন্ধভাবে অনুকরণ করে নিজের বিপদ ঢেকে এনেছেন। তোমাকে সেইসব গল্প খুঁজতে হবে তা তোমাকে, তোমার দর্শখকে সাহস জোগাবে’।
এসএস রাজামৌলির ‘বাহুবলী’ ফ্রাঞ্চাইসির ব্যপক সাফল্যের পর ‘প্যান-ইন্ডিয়া ছবি’ এই শব্দবন্ধের ব্যবহার শুরু হয়েছে। চলতি বছর একের পর এক দক্ষিণী ছবি ব্লকবাস্টার হয়েছে। কেজিএ চ্যাপ্টার ২, আরআরআর- এই বছরের অন্যতম ব্যবসা সফল ছবি। এছাড়াও কান্তারা, বিক্রমের মতো ছবিও ভালো ফল করেছে বক্স অফিসে।
অনুরাগের কথায় বলিউডের ফিল্মমেকাররা নিজের শিকড় থেকে সরে গেছে। সুতরাং নিজের মতো করে ছবি বানালে, গল্পে মৌলিকতা থাকলে ফের একবার বলিউডের ছবি দেখতে আগ্রহী হবে দর্শর। চলতি বছর ‘ব্রহাস্ত্র’, ‘ভুলভুলাইয়া ২’, ‘দৃশ্যম’-এর মতো হাতেগোনা কিছু বলিউড ছবি হিটের তকমা পেয়েছে।
For all the latest entertainment News Click Here