এভাবে অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়- বিরক্ত স্টিম্যাচ
৪৬ বছর পর লেবাননের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ১৯৭৭ সালের প্রেসিডেন্টস কাপে ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে উপরে থাকা দলকে শেষবার হারিয়েছিল ভারত। চার দশক পর আবার লেবাননকে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ চাম্পিয়ন হল ভারত। সুনীল ছেত্রী এবং লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গোলে ২-০ জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। তবে দল চ্যাম্পিয়ন হলেও পুরোপুরি খুশি হতে পারেননি ভারতরে কোচ ইগর স্টিম্যাচ।
প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছে ভারত। পরিকল্পনার অভাব ছিল দলে। আক্রমণ করলেও তা ঠিকঠাক দানা বাঁধছিল না। আর প্রথমার্ধের খেলা দেখেই চটেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার স্টিম্যাচ। ম্যাচের পর ইগর স্টিম্যাচ বলেও দেন, ‘জিতেছি ভালো বিষয়। তবে প্রথমার্ধটা ছিল হতাশাজনক। আমি রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিলাম। ড্রেসিংরুমে আমি প্লেয়ারদের কী বলেছিলাম, সেটা আমাকে না জিজ্ঞেস করাই ভালো। আমরা অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তানের বিপক্ষে এভাবে খেললে কোনও লাভ হবে না।’ স্টিম্যাচ স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ রকম পারফরম্যান্স করলে এএফসি এশিয়ান কাপে রীতিমতো ল্যাজেগোবরে হতে হবে মেন ইন ব্লু-কে।
আরও পড়ুন: মদ্রিচের আক্ষেপ বাড়িয়ে চোকার্স হয়েই থাকল ক্রোয়েশিয়া, টাইব্রেকারে UEFA Nations League চ্যাম্পিয়ন স্পেন
তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় পুরো টিম। স্টিম্যাচের পেপটকই হয়তো বদলে দিয়েছিল পুরো টিমের বডিল্যাঙ্গোয়েজ। বিরতির পর আগ্রাসী মেজাজেই দেখা যায় টিম ইন্ডিয়াকে। দ্বিতীয়ার্ধেই হয় দু’ গোল।
ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি পেতে পারত ভারত। আশিক কুরুনিয়ানকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন লেবাননের ফারান। ভারতীয় ফুটবলাররা পেনাল্টির আবেদন করলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে ভারতের পারফরম্যান্স ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। মিস পাস থেকে শুরু করে খেলায় গা-ছাড়া ভাব, তা ছাড়া সুযোগ তৈরি হলেও, ফিনিশ করতে পারছিল না। লেবাননের ফুটবলাররা সহজেই পা বল কেড়ে নিচ্ছিলেন। প্রথমার্ধে পুরো ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে ভারত।
আরও পড়ুন: মাঠে ঢুকে সোজা রোনাল্ডোকে কোলে তুলে নিলেন এক ভক্ত, করলেন সিইউউ সেলিব্রেশনও- ভিডিয়ো
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে লড়াইয়ে নামে ভারত। দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করেন সুনীল ছেত্রী। নিখিল পুজারির পাস দেন ছাংতেকে। ডান দিক থেকে ছাংতে বেশ দৌড়ে এসে ক্রস করেন বক্সে। গোলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুনীল বল জালে জড়াতে ভুল করেননি। গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ে ভারতের। আক্রমণেপ ঝাঁজ বাড়ায় তারা। ৬৬ মিনিটের মাথায় মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে সুনীল বাঁ দিকে মহেশের উদ্দেশে পাস দিয়েছিলেন। মহেশের বাঁ পায়ের শট আটকে দেন লেবাননের গোলকিপার সাবেহ। কিন্তু বিপন্মুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন ছাংতে। তবে ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও স্টিম্যাচের দুঃশ্চিন্তার মেঘ কাটছে না।
For all the latest Sports News Click Here