এটা তো ইংলিশে! KKR অ্যান্থেম গাইতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়লেন রিঙ্কু!
প্রায় তিন বছর পর পুরনো ফর্মে ফিরেছে আইপিএল। গত দুই-তিন বছর ধরে যে ছবি দেখা যেত, সেই ছবি আর এই বছর নেই। করোনাও নেই, শুধুই রয়েছে বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। গত দুই-তিন বছর করোনার জন্য একাধিক নিয়মের বেড়াজালের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় আইপিএল। জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ক্রিকেটারদের থাকা থেকে শুরু করে, ফাকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ। কত কিছুই না ছিল।
কিন্তু বর্তমানে করোনা নেই বললেই চলে। ফলে পুরনো মেজাজে ফিরে গিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। গত তিন বছর হোম অ্যাওয়ে ফরম্যাটে এই টুর্নামেন্ট বন্ধ থাকার পর অবশেষে পুরনো ফর্মে ফিরেছে। দীর্ঘদিন পর নিজের দলকে সমর্থন করতে স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছেন সমর্থকরা। টিকিটের হাহাকার দেখা দিয়েছে।
এই যেমন কলকাতা বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচের টিকিট আগেই শেষ হয়ে যায়। অনেক সমর্থককেই টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। এবারের আইপিএলকে ঘিরে যে টিকিটের চাহিদা রয়েছে তা বোঝা গিয়েছিল মরশুম শুরু হওয়ার আগেই। অনলাইনে টিকিট ছাড়া মাত্রই তা শেষ হয়ে যায়। প্রায় তিন বছর পর কেকেআর ইডেনে খেলতে নামায় উন্মাদনা ছিলই। তেমনই প্রতিপক্ষ যখন আরসিবি, ফলে বিরাটকে দেখার জন্যও আরসিবির সমর্থকরা মাঠে যান। একই সঙ্গে শাহরুখ খানকে সামনে থেকে দেখা সুযোগ। কোনওটাই হাতছাড়া করতে চাননি সমর্থকরা।
চিরাচিত প্রথায় সমর্থকদের দেখা দিলেন বাদশা। কেকেআরের জয়ের পর পুরো মাঠ ঘুরলেন তিনি। জৈব বলয়ের সময় যা সম্ভব ছিল না একেবারেই। শুধু তাই নয়, ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখাও করলেন কিং খান। ড্রেসিংরুমেও যেতে ভুললেন তিনি। ম্যাচ শেষে ইডেন ছাড়ার আগেই ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেলিব্রেশনে মাতেন বাদশা। শুধু তাই নয়, ম্যাচের সেরা শার্দুল ঠাকুরকে পাশে তাঁর কাঁঁধে হাত দিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে অ্যান্থেমে সুর মেলালেন কিং খান। যে ছবি তিন বছর দেখা যায়নি করোনার জন্য। এবার তা ফের দেখা গেল। বাদশাকে সামনে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত কেকেআরের ক্রিকেটাররা। এই সময় ক্রিকেটাররা বলেন রিঙ্কু শুরু করুক অ্যান্থেমটা, বাকিরা ফলো করবে। কিন্তু ইংরেজিতে পুরোটা গাইতে হবে দেখে চাপে পড়ে যান রিঙ্কু। সেই নিয়ে কিছুটা হাসি-ঠাট্টাও হয়। পরে সবার সাহায্য নিয়ে গাওয়া হয় অ্যান্থেমটি।
মরশুমের প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে যেভাবে হারের মুখ দেখে শুরু টুর্নামেন্ট, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা খুবই দরকার ছিল। ঘরের মাঠে আরসিবিকে হারাতে মরিয়া ছিল নাইটরা। একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে চাপেও পড়ে যায় তারা। কিন্তু দলের হাল ধরেন গুরবাজ, রিঙ্কু সিং এবং শার্দুল ঠাকুর। বিশেষ করে শার্দুলে বড় রানে ভর করে ২০৪ রান তোলে কেকেআর। আর ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসাবে নামা সুয়াশ শর্মার তিন উইকেট এবং বরুণ চক্রবর্তীর ৪ উইকেটে ভর করে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় শাহরুখ খানের দল।
For all the latest Sports News Click Here