এক হাঁড়ি ভাত,৭টা পারশে মাছ- একাই সাফ করে এই সুন্দরী, রাজের কথা শুনে হাঁ সৌরভ!
এক হাঁড়ি ভাত, ৭টা পারশে মাছ, ১২টা রুটি- একসঙ্গে একবারে খেয়ে নেন তিনি। তিন প্যাকেট বিরিয়ানি নিমেষে সাফ করে দেন। অথচ তাঁর ফিগার দেখে বোঝার জো নেই তিনি এতোখানি ভোজনরসিক। অভিনেত্রী অদ্রিজা রায়ের এমন সিক্রেট ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে ফাঁস করেছেন স্বয়ং রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
বাঁশপাতার মতোই পাতলা, ছিপছিপে নায়িকা অনায়াসে এতকিছু খেতে পারেন শুরুতে বিশ্বাসই করেননি সৌরভ। তিনি তো প্রশ্ন করেন, ‘এতো কিছু যায় কোথায়?’ অদ্রিজার খাওয়ার গল্প হাসতে হাসতে ফাঁস করেন রাজশ্রী। তারকা দম্পতির কথা মেনে অদ্রিজা জানায়, হ্যাঁ, একবার ছোট্ট এক হাঁড়ি ভাত, সঙ্গে ৭টা পার্শে মাছ সত্যি খেয়ে ফেলেছিল সে। সরষে দিয়ে পারশে মাছ তাঁর বড্ড প্রিয়। তাঁর ছুটির দিনে কাজের মাসি রান্না করে বাড়ি চলে গিয়েছিল। সিনেমা দেখতে দেখতে সেই এক হাঁড়ি ভাত এবং সবকটি মাছই সাবার করে ফেলেছিলেন তিনি। আসলে সেই সময় তাঁর খেয়ালই ছিল না তিনি কতটা খাচ্ছেন আর কী খাচ্ছেন। এর জেরেই এক হাঁড়ি ভাত, মাছ, রুটি সব খেয়ে ফেলেন।
আসলে ‘পরীণিতা’ ছবির প্রচারে ‘দাদা’র সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী, অদ্রিজারা। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন শ্যুটিং সেটে ভীষণ বকা খেতেন অদ্রিজা নিজের খাই খাই স্বভাবের জন্য। তখনই রাজ ফাঁস করেন, অদ্রিজার খাবার খাওয়ার এমন বহরের কথা!
শুধু খাওয়ার মামলাতেই নেই নায়িকা আদতে ‘বাহুবলী’ সেটাও জানান রাজ। শুভশ্রী বলেন, অনায়াসে অদ্রিজা তাঁকে তুলে নেয়। কারণ ওর গায়ে প্রচণ্ড ক্ষমতা। সৌরভ ক্যামেরার সামনে ফের চ্যালেঞ্জ রাখেন অদ্রিজার সামনে। দেখা যায়, সত্যি নিজের ওজনের চেয়ে বেশি শুভশ্রীকে অনায়াসেই চাগিয়ে তুলে ফেলেন অদ্রিজা। তাঁর এই কীর্তি দেখে হাঁ সৌরভ। হাসিতে ফেটে পরে দাদাগিরির পুরো সেট। শেষমষে অদ্রিজাকে কুর্নিশ জানিয়ে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলে উঠেন, ‘এবার বুঝলাম এতো খাবার যায় কোথায়’।
For all the latest entertainment News Click Here