এক সিজনে তিন বার ২০০ চেজ করে জয়, পঞ্জাব ও চেন্নাইয়ের রেকর্ড ম্লান করল মুম্বই

২০২৩ আইপিএলের শুরুটা মোটেও ভালো করেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে যত দিন গড়াচ্ছে, তত যেন খোলস ছেড়ে বের হচ্ছে রোহিত শর্মার টিম। মঙ্গলবার আরও একবার ২০০ রান তাড়া করে জিতল মুম্বইয়ের টিম। এই নিয়ে ২০২৩ মরশুমে মোট তিন বার ২০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

মঙ্গলবার আরসিবি-র বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে ২০০ রান তাড়া করতে নেমে ২১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৩ মে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে আবার ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিলেন রোহিতরা। ৩০ এপ্রিল পঞ্জাব ম্যাচের আগেই রাজস্থান রয়্যালসকেও দু’শোর উপর রান তাড়া করে হারিয়েছিল মুম্বই। সেই ম্যাচে ২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে তারা ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলেছিল।

এক মরশুমে দু’শো বা তার বেশি রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বেশি বার জয়ের নজির গড়ল মুম্বই। যদিও হাতে আরও বেশি ম্যাচ বাকি আছে। এই পরিসংখ্যান বাড়তে পারে। তবে আপাতত এই তালিকায় ৩ বার ২০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জিতে শীর্ষস্থানের দখল নিয়েছে মুম্বই। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে যথাক্রমে পঞ্জাব কিংস এবং চেন্নাই সুপার কিংস এক মরশুমে ২ বার করে দু’শো বা তার বেশি রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল। সেই রেকর্ড এ দিন ম্লান করে দিল মুম্বই।

আরও পড়ুন: ক্রিজে প্রায় ৩ মিটার এগিয়ে এসেছিলেন রোহিত, তবু LBW দেওয়া হল,ক্ষেপে লাল নেটপাড়া

মঙ্গলবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন ফ্যাফ, সেটি মিস হলেও, সেই ওভারের পঞ্চম বলে বিরাট কোহলি (১ রান) ক্যাচ দেন মুম্বইয়ের উইকেটকিপার ইশান কিষাণকে। ইশান কোনও ভুল করেননি। এর পর অনুজ রাওয়াতও (৬ রান) তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফিরে যান। দলের ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে যখন আরসিবি মারাত্মক চাপে, তখন দলের হাল ধরেন ফ্যাফ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাক্সি এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন। তৃতীয় উইকেটে আরসিবি যোগ করে ১২০ রান। ৩৩ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল। ৪১ বলে ৬৫ করেন ফ্যাফ।

এ ছাড়া ১৮ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন দীনেশ কার্তিক। কেদার যাদব এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা অপরাজিত ১২ করে রান করেছেন। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করে আরসিবি। মুম্বইয়ের জেসন বেহনরেনডর্ফ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন, ক্রিস জর্ডন এবং কুমার কার্তিকেয়।

আরও পড়ুন: ক্যাচ ধরছেন নাকি ল্যাটা মাছ- ফ্যাফের ক্যাচ ৩ বারের চেষ্টায় ধরলেন বিষ্ণু- ভিডিয়ো

পাল্টা ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মারকুটে মেজাজে করেছিলেন ইশান কিষাণ। ৪টি চার এবং ছয়ের সাহায্যে ২১ বলে ৪২ রান করে আউট হন মুম্বইয়ের উইকেটকিপার। তবে আবার ব্যর্থ রোহিত শর্মা। যদি এ দিন তাঁর আউট নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে ৮ বল খেলে মাত্র ৭ রানে আউট হন মুম্বইয়ের অধিনায়ক। তবে দলকে জয়ের লক্ষ্যে দায়িত্ব নিয়ে টেনে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। তিনি পাশে পান নেহাল ওয়াধেরাকে। তৃতীয় উইকেটে ১৪০ রান যোগ করে সূর্য এবং নেহাল জুটি। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়।

সূর্যকুমারের দাপটেই আরসিবি বোলাররা উড়ে যান। ৩৫ বলে ৮৩ রান করেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি। বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৬টি ছয়, ৭টি চার। কার্যত একাই আরসিবিকে হারিয়ে দেন সূর্য। শেষ ছয় ইনিংসের মধ্যে চারটিতেই অর্ধশতরান করে ফেললেন সূর্য। সূর্যকে যোগ্য সঙ্গত করে নেহাল ৩টি ছয় এবং ৪টি চারের সাহায্যে ৩৪ বলে অপরাজিত ৫২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৬.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বই। রানে পৌঁছে যায় মুম্বই। ২১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জেতেন রোহিতরা।‌ জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। আরসিবি-র ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং বিজয়কুমার ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.