এক বাড়িতে থেকেও সপ্তাহে ৬ দিন নাতনির মুখ দেখতে পান না! চরম আক্ষেপ অমিতাভের
বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই। কিন্তু এই বয়সেও আরাম করবার সময় নেই অমিতাভের। শ্যুটিং নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত বিগ বি। হয় ছবির শ্যুটিং নয়তো কোনও বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেন, এছাড়া কৌন বনেগা ক্রোড়পতি তো রয়েইছে! এবার কেবিসি-র মঞ্চে নাতনি আরাধ্যার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে অকপট অমিতাভ। কেবিসি ১৪-র সাম্প্রতিক এপিসোডে অংশ নিল একঝাঁক খুদে, যার মধ্যে অমিতাভের সঙ্গে হটসিটে বসে গেম খেলার সুযোগ হাতে আসে কলকাতার আয়াংশ ভালোটিয়ার।
আয়াংশের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দিলেন অমিতাভ। আয়াংশের সঙ্গে তাঁর দাদু-ঠাকুমার সম্পর্কের গভীর বন্ধন দেখে ভাবুক হয়ে পড়েন বিগ বি। আয়াংশ জানায়, দাদু-ঠাকুমার সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কাটে তাঁর। ১০ বছরের খুদে প্রতিযোগী এরপর পালটা প্রশ্ন করে, নাতনি আরাধ্যার সঙ্গে তিনি কীভাবে সময় কাটান? জবাবে অমিতাভ বলেন, ‘আমি যে পেশায় আছি, আমাকে প্রতিদিন সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরোতে হয়। সেইসময় আরাধ্যা স্কুলে থাকে। আর আমি যখন কাজ সেরে ফিরি,তখন ও ঘুমোয়। খুব কম সময় পাই আমরা একসঙ্গে কাটানোর, কিন্তু রবিবার দিন আমরা খুব মজা করি। এখন তো আরাধ্যা বড় হয়ে গিয়েছে। বড়দের মতো খেলাধূলোই ওর পছন্দ এখন। আমরা কম্পিউটারে গেম খেলি, কখনও টেনিস আবার কখনও ফুটবল’।
আর ছেলেবেলায় অমিতাভের কী ধরণের খেলা পছন্দ ছিল? কেসিবির সঞ্চালক জানান, ‘গিল্লি ডাণ্ডা’। হ্যাঁ, খুদে অমিতাভ ডাংগুলি খেলতে ভালোবাসতেন। এর আগে কেবিসির মঞ্চেই অমিতাভ খোলসা করেছিলেন, নাতনির রাগ ভাঙাতে কী উপায় অবলম্বন করেন তিনি। বিগ বি জানিয়েছিলেন, ‘আরাধ্যা রেগে গেলে আমি ওকে চকোলেট দিয়ে ওর মান ভাঙাই। আর মেয়েরা মাথায় যেটা পরে… ও যে হেয়ার ব্যান্ড, গোলাপি ওর প্রিয় রঙ। আমি ওকে গোলাপি হেয়ার ব্যান্ড কিনে দিই, ক্লিপ নিয়ে যাই। তাহলেই ওর মন গলে যায়’।
অমিতাভের কথায় টেকনোলজির জেরে ব্যস্ততার ফাঁকেও নাতনির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অটুট রয়েছে। সময়ে সময়ে ফেসটাইমে কথা বলে নেন তাঁরা, তবে রবিবার ছাড়া একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয় না। অমিতাভ পুত্র অভিষেকের একমাত্র কন্যা আরাধ্যা। সবে ১১ বছর বয়স অভিষেক-ঐশ্বর্য কন্যার। আরাধ্যার পাশাপাশি অমিতাভের মেয়ের ঘরের দুই নাতি-নাতনি রয়েছে, নভ্যা এবং অগস্ত্য।
For all the latest entertainment News Click Here