‘এক্স=প্রেম’ না ‘হাবজি গাবজি’? বিতর্ক পেরিয়ে বক্স অফিসে এগিয়ে কে
ছবি মুক্তির আগেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। রাজ চক্রবর্তীর ‘হাবজি গাবজি’ জায়গা করে নিয়েছিল নন্দনে। ব্রাত্য থেকে গিয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘এক্স=প্রেম’। একসঙ্গে আবেদন করেও কেন শুধুমাত্র ছাড়পত্র পেলেন রাজ? প্রশ্ন তুলে নেটমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সৃজিত। সাময়িক মনোমালিন্যের পর যদিও মিটমাট হয়। ছবির সাফল্য কামনা করে একে অপরকে সৌজন্য়মূলক বার্তাও দেন দুই পরিচালক। কিন্তু, বক্স অফিসের দৌড়ে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে কে? কোন ছবির ভাঁড়ারে কতই বা এল?
৩ জুন মুক্তি পেয়েছে ‘এক্স=প্রেম’ এবং ‘হাবজি গাবজি’। প্রথমটির সুবাদে কলেজ জীবনের নস্টালজিয়ায় বুঁদ দর্শকের একাংশ । অন্য দিকে, প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক তুলে ধরে প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে দ্বিতীয়টি। তবে নেটমাধ্য়ম যা-ই বলুক, ব্যবসার নিরিখে খানিক পিছিয়ে সৃজিতের ছবি। কলকাতার এক বিশিষ্ট বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ‘এক্স=প্রেম’-এর প্রায় তিন গুণ বেশি ব্যবসা করেছে ‘হাবজি গাবজি’। এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষেরও বেশি টাকা এসেছে এই ছবির ভাঁড়ার।
দু’টি ছবিই তৈরি হয়েছে বাংলার প্রথম সারির দুই প্রযোজনা সংস্থার ছাতার তলায়। সেগুলির প্রচারেও কোনও খামতি রাখা হয়নি। ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে দর্শকের আগ্রহও ছিল দেখার মতো। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে এই তারতম্য কেন ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই বিশেষজ্ঞ জানান, প্রায় সমান সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্ছে ‘এক্স=প্রেম’ এবং ‘হাবজি গাবজি’। তবে শহরের বেশির ভাগ মাল্টিপ্লেক্সে ভাল চলছে সৃজিত পরিচালিত ছবিটি। অন্য দিকে, প্রিয়া, নবীনের মতো সিঙ্গল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহগুলিতে উপচে পড়ছে ‘হাবজি গাবজি’র ভাঁড়ার।
সেই বিশেষজ্ঞের কথায়, “এক-একটি প্রেক্ষাগৃহে গড়ে কত শতাংশ আসন ভরতি হচ্ছে, তার উপর একটি ছবির ব্যবসা কিছুটা হলেও নির্ভরশীল। ‘এক্স=প্রেম’-এর তুলনায় ‘হাবজি গাবজি’র ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা খানিক হলেও বেশি।”
তবে কি সাদা-কালো ফ্রেমে বোনা কলেজ জীবনের প্রেম দর্শকের মন জয়ে ব্যর্থ? সৃজিতের ‘এক্স=প্রেম’কে পিছনে ফেলে শেষ হাসি হাসবে রাজের ‘হাবজি গাবজি’?
উত্তরের অপেক্ষায় টলিউড।
For all the latest entertainment News Click Here