এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকে লেখিকার সঙ্গে নায়িকার চরিত্রের সমালোচনা, দর্শকদের কী মত
স্টার জলসার প্রাইম টাইমে, রোজ রাত ৯টায় দেখা যাচ্ছে এক্কা দোক্কা। দুই পরিবারের গল্পের সঙ্গে, দুই বন্ধুর সম্পর্ক দেখানো হচ্ছে এই ধারাবাহিকে। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সোনামণি সাহা এবং সপ্তর্ষি মৌলিককে। সোনামণি রয়েছেন রাধিকার চরিত্রে এবং পোখরাজের ভূমিকায় সপ্তর্ষি।
শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে রাধিকার পরিবারের সঙ্গে পোখরাজদের পরিবারের রেষারেষি। এছাড়া রাধিকা আর পোখরাজ দুজনেই ডাক্তারির ছাত্র, সেখানেও তাঁদের মধ্যে রেষারেষি দেখা যায়। কিন্তু এই রেষারেষির মধ্যেও যে তাঁদের একে অন্যের জন্য টান রয়েছে, তাঁরা একে অন্যকে পছন্দ করে, ভালোবাসে সেটা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। পোখরাজ তাঁর মনের কথা জানালেও, রাধিকা এখনও কিছু জানায়নি।
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে রাধিকা এবং পোখরাজের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর এরপরই গল্পের মোড় ঘুরে গিয়েছে। পোখরাজের বাড়িতে রাধিকাকে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। অপমানিত হতে হচ্ছে তাঁকে। শোনানো হচ্ছে নানান কটু কথা।
পোখরাজের মা রাধিকাকে ধাক্কা মারে ফেলে দিয়েছে, তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে তাতে। অন্যদিকে বৌভাতের অনুষ্ঠানে বউ, ওরফে রাধিকা সবার জন্য রান্না করে। কিন্তু তাতেও বাড়ির অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে তাঁর পোলাও। এর ফলে যখন সে সবাইকে খেতে দেয় তখন তাঁকে সবার খারাপ কথার সামনে পড়তে হয়।
আর এটার পরেই দর্শকদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে এই ধারাবাহিককে। তাঁদের মতে, একজন শিক্ষিত, ডাক্তার মেয়েকেও যদি বিয়ের পর রান্না করে তাঁর যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়, হেনস্থার শিকার হতে হয় শ্বশুর বাড়িতে তাহলে তাঁর আর শিক্ষিত হওয়ার মানে কী? রাধিকার চরিত্রটাই বা কী সে কেন এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না? এমনটাই অভিযোগ করছে দর্শকরা।
দর্শকদের মতে, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, অর্থাৎ এই গল্পের লেখিকা কি সবসময় মেয়েদের অত্যাচারিত হতে দেখাতে চান? কিন্তু কেন? এতে কি টিআরপি বাড়ে? কতদিন এরম ভাবনা রাখা হবে আর, তাঁদের প্রশ্ন।
For all the latest entertainment News Click Here