‘একসময় অনুষ্কার কেরিয়ার শেষ করার জন্য আমিই উদ্যত হয়েছিলাম’, অকপট করণ জোহর
‘আমিই একপ্রকার অনুষ্কা শর্মার কেরিয়ার শেষ করে দিতে উদ্য়ত হয়েছিলাম।’ একদিন একথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছিলেন করণ জোহর। তাও আবার প্রকাশ্যেই। ২০১৬-র ‘মামি মুম্বই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে কথোপকথনের সময় একথা নিজের মুখেই বলেন করণ। ঠিক কী ঘটেছিল?
যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে ২০০৮-এ মুক্তি পায় ‘রব নে বনা দি জোড়ি’। সেই ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে বলিউডে পা রাখেন অনুষ্কা শর্মা। আর এটিই ছিল অনুষ্কার ডেবিউ ফিল্ম। যেটি সুপারহিট হয়। এরপরে অবশ্য যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে বেশকিছু ছবিতে কাজ করেন অনুষ্কা শর্মা। করণ জোহর ২০১৬-র ‘মামি মুম্বই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর এক অনুষ্ঠানের আলাপচারিতায় ঐশ্বর্য রাই ও অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে করণ জোহর বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণরূপে অনুষ্কা শর্মার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। কারণ, আদিত্য চোপড়া যখন আমাকে ওঁর(অনুষ্কার) ছবি দেখিয়েছিলেন রব নে বনা দি জোড়ি-র জন্য, তখন আমি বলেছিলাম, না, না, পাগল নাকি, তুমি ওকে সই করাচ্ছ, তুমি কি পাগল! তোমার এই অনুষ্কা শর্মাকে সই করানোর দরকার নেই। সেই সময়ে আরও একজন অভিনেত্রী ছিলেন, আমি চেয়েছিলাম আদি (আদিত্য চোপড়া) ওই ছবির জন্য ওঁকে সই করান। এক্ষেত্রে আমি এক্কেবারে নাশকতার চেষ্টায় ছিলাম। ছবি মুক্তির পরও ভীষণ অনিচ্ছা নিয়েই রব নে বানা দি জোড়ি দেখছিলাম।’
করণ আরও বলেছিলেন, ‘পরবর্তী সময় যখন আমি ব্যান্ড বাজা বারাত দেখলাম, আমি অনুষ্কাকে ফোন করেছিলাম এবং আমার মনে হলো আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নি এবং ওঁর প্রশংসাও পাওনা রয়েছে। ক্ষমা চেয়েছিলাম কারণ আমি খুব বিব্রত বোধ করেছিলাম এটা ভাবে যে আমি সত্যিই এক ব্যতিক্রমী প্রতিভার কেরিয়ার গ্রাফ নষ্ট করে ফেলতে যাচ্ছিলাম। দ্বিতীয়ত, অনুষ্কার অভিনয় দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম।’ শোনা যায়, করণ নাকি চেয়েছিলেন অনষ্কা শর্মার বদলে সোনম কাপুরকে ‘রব নে বনা দি জোড়ি’-তে নেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, ২০১৬-র করণের সেই স্বীকারোক্তি সম্প্রতি Reddit এ শেয়ার করা হয়েছে যেখানে করণের মন্তব্য শুনে বেজায় বিরক্ত হয়েছেন বহু নেটনাগরিক। কেউ লিখেছেন, ‘বাহ। উনি নিজেই তাহলে স্বীকার করছেন যে তিনি অনুষ্কার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।’ কেউ লিখেছেন, ‘করণ হয়ত এমন অনেকের কেরিয়ার-ই নষ্ট করেছেনে যাঁরা বলিউডে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগটিও পাননি।’ কারোর কথায়, ‘KJO এবং তাঁর দলবল মনে করেন, কে কী করবেন সবই তাঁরা ঠিক করে দেবেন। কী ভয়ঙ্কর সাহস!’ এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।
For all the latest entertainment News Click Here