একমাথা সিঁদুরে দুর্গা পুজোর সাজে নুসরত, ট্রোল হলেন বেরিয়ে থাকা ‘হাড্ডি’ নিয়ে
সোশ্যাল মিডিয়ায় এর আগেও ট্রোল হয়েছেন নুসরত জাহান। আসলে বরাবরই তিনি থাকেন নেট-নাগরিকদের স্ক্যানারে। আর চলতে থাকে ট্রোলিং। ককনও পোশাক নিয়ে, কখনও রোগা হওয়া নিয়ে তো কখনও হিন্দু উৎসবে সামিল হওয়া নিয়ে সমালোচকদের নিশানায় আসতে হয় তাঁকে। ষষ্ঠীর সকালে নিজের শাড়ি লুক শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। পেঁয়াজি রঙের সিল্প, সঙ্গে ভলভেটের ব্লাউজ। কানে বড় ঝুমকো। মাথার খোঁপায় লাগানো ফুল। তবে এই ছবিতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে নুসরতের সিঁথি ভরা সিঁদুর।
ব্যস আর কী, ট্রোলিং শুরু। অনেকটাই ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন অভিনেত্রী। তবে কারও কারও এটা দেখেই ‘অসুস্থ’ লাগছে তাঁকে। এজন লিখলেন, ‘সব হাড্ডি বেরিয় এসেছে, এবার তো ঝড় দিলে উড়ে যাবে।’ তবে তাঁর মাথায় সিঁদুর পরা নিয়েও হল কটাক্ষ ধর্ম তুলে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মুসলিম হয়েও হিন্দু ধর্ম পালন করে, মাথায় সিঁদুর পরে। এরকম নারীদের দোজখে যাওয়া উচিত।’ সঙ্গে কারও প্রশ্ন, ‘তুমি নিশ্চিত তো এই মাথার সিঁদুরটা যশের নামেরই পরেছো?’
গত বছর পুজোর পরপরই নিজেকে যশের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছিলেন নুসরত। যদিও বিয়েটা কবে কোথায় হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তিনি কখনোই জানাননি। পুজোর আগে অগস্ট মাসে জন্ম দিয়েছিলেন ছেলে ঈশানের। যার পিতৃ-পরিচয় নিয়েও অনেক কথা হয়েছিল। পরে বার্থ সার্টিফিকেটটাই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায় ঈশান আসলে যশের সন্তান।
এই তো দিনকয়েক আগেই ইনস্টাগ্রামের Q&A রাউন্ডে একজন অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করে বসেন, ‘তুমি অমুসলিমদের বিয়ে করেছো কেন? নাকি তুমি মুসলমান বর পাওয়ার যোগ্য নও?’ আর তাতে মেজাজ হারান বসিরহাটের সাংসদ। সপাটে জবাব দেন, ‘তুমি ঠিক কোন গ্রহের প্রাণী? তুমি কি মানুষ…!’
এর আগে ২০১৯ সালের জুন মাসে তুরস্কের বোদরুমে রাজকীয় বিয়ে সেরেছিলেন নুসরত জাহান পোশাক ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে। তবে সেই বিয়ে ভারতের ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪’ হিসেবে হয়নি। ফলত গত বছরই তা আলিপুর আদালতে খারিজ হয়ে যায়। আপাতত যশের সঙ্গে তাঁপ সুখের সংসার। তাঁদের ছেলে ঈশান তো আছেই, যশের আগেরপক্ষের ছেলে রিয়াংশও তাঁদের সঙ্গেই থাকে বলে খবর।
For all the latest entertainment News Click Here