একফ্রেমে সৃজিতের প্রাক্তন ও বর্তমান! মিথিলাকে নিজের হাতে খাইয়েও দিলেন জয়া
ফের চর্চায় সৃজিত-জয়ার সম্পর্কের সমীকরণ। সৌজন্যে পরিচালকের পুজো রিলিজ ‘দশম অবতার’। প্রেগন্যান্ট শুভশ্রীর পরিবর্তে এই ছবিতে দেখা যাবে সৃজিতের চর্চিত প্রাক্তন জয়া আহসানকে। বছর কয়েক আগে সৃজিত-জয়ার প্রেম নিয়ে দুই বাংলা ছিল উথাল-পাথাল। প্রকাশ্য়ে সেই নিয়ে কথা বলেননি কেউই। ফের সৃজিত-জয়ার এক হওয়া নিয়ে নানান গুঞ্জন চতুর্দিকে। এর মাঝেই এক ছাদের তলায় পাওয়া গেল জয়া ও মিথিলাকে। আরও পড়ুন-‘সৃজিতকে নিয়ে হেডলাইন নয়, আমার কাজ নিয়ে আলোচনা হোক’, বলছেন ‘মায়া’ মিথিলা
এক পরিচিতর বিয়েতে হাজির ছিলেন জয়া ও মিথিলা। সেখানেই হাসিমুখে পোজ দিলেন দুজনে। গোলাপি রঙা ভারী সিল্কের শাড়িতে ঝলমলে জয়া, সঙ্গে সোনালি জরির কাজ। স্লেট রঙা শাড়িতে দেখা মিলল মিথিলার। বিয়ে বাড়িতে ‘ভারি মজা’ করলেন দুজনে। মিথিলাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতে দেখা গেল জয়াকে। জয়া-মিথিলাকে একফ্রেমে দেখে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। বিয়ে বাড়িতে জয়াকে দেখে অনেক অনুরাগীরই প্রশ্ন, ‘আপনি কবে বিয়ে করছেন আপা?’ কেউ লিখলেন, ‘সৃজিত কোথায়? উনি থাকলে জমে যেত’।
জয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ খুবই সহজ, তা আগেই স্পষ্ট করেছেন মিথিলা। সৃজিতের সঙ্গে পরিচয়ের আগে থেকেই ‘জয়া আপা’র সঙ্গে পরিচিতি মিথিলার। ‘দশম অবতার’-এ সৃজিত-জয়ার একসঙ্গে কাজ করার প্রসঙ্গে সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা জানিয়েছেন, ‘পুরোনো কারোর সঙ্গে সম্পর্ক থাকতেই পারে, তবে আর কাজ করবেন না সেটা তো নয়। কাজটা তো কাজই। এটা নিয়ে আমার আসলে কোন ভাবনা নেই। আসলে এগুলো আমার জন্য খুবই অবান্তর প্রশ্ন। আমি জয়া আপাকে অনেক আগে থেকে চিনি, সৃজিতেরও আগে। আমি যদি ঝামেলা করি, তাহলে তো কাজই হবে না। আমি এসব নিয়ে ঝামেলা করি না, করবও না’।
মিথিলার আরও সংযোজন, ‘এ সব আর ভাবি না। আর এসব নিয়ে রাগ করে কী করব! এতে কার কী লাভ! কারোর কোনও লাভ হয় না। কারোর অতীত আমি তো বদলাতে পারব না, সেটা নিয়ে রাগ করে লাভ নেই। তার থেকে বর্তমানে ভালো থাকি।’
সৃজিত-মিথিলার দাম্পত্যে ভাঙনের গুঞ্জনও হালে কম শোনা যায়নি। কিন্তু নায়িকার সাফ কথা, তাঁদের সম্পর্ক ‘স্টেবল’। মিথিলার কথায়, ‘আমার মনে হয় যেকোনও দাম্পত্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, খিটিমিটি,খুবই সাধারণ বিষয়। সেটা কোথা থেকে কীভাবে খবরে চলে আসছে বুঝতে পারি না। আমি যেহেতু বাইরে বাইরে থাকি, নিজেদের মধ্যে বিষয়গুলির সমাধান হওয়ার আগেই বিষয়গুলো পাবলিক হয়ে যায়। এবার যদি সত্যিই সিরিয়াস কিছু ঘটে, সেটা তো আমরা জানাবই। তার অপেক্ষা না করে এই যে গুঞ্জন বলে খবর হয়ে যাচ্ছে। সত্যিই বিচ্ছেদ হলে এরপর কেউ বিশ্বাস করবেন না। সেই পালে বাঘ পড়ার মতো হবে’।
সৃজিতের পরিচালনায় ‘রাজকাহিনি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন জয়া। এরপর পরিচালকের ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিতেও দেখা মিলেছিল জয়ার। তারপর পাঁচ বছর পার হলেও একসঙ্গে দেখা মেলেনি তাঁদের। ‘দশম অবতারে’ তাঁদের একসঙ্গে দেখতে মুখিয়ে দুই বাংলার সিনেপ্রেমিরা।
For all the latest entertainment News Click Here