একটা-দুটো ম্যাচ খারাপ যেতে পারে, টানা বাজে বোলিং কেন? তুলোধনা KKR ক্যাপ্টেনের
গত ম্যাচে ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখতে হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সেই ধারা বজায় রাখল কেকেআর। আরব সাগরের তীরে একাই লড়ে গেলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আর কোনও নাইট ব্যাটারকেই এদিন লড়াকু ইনিংস খেলতে দেখা যায়নি। ৫১ বলে ১০৪ রান করেন আইয়ার। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি এবং ৯টি ওভার বাউন্ডরির সৌজন্যে।
বেঙ্কটেশের শতরানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু শতরান করলেও দলকে জেতাতে পারলেন না তিনি। ব্যাট হাতে একাই লড়ে গেলেন তিনি। শুধু তাই নয়, নাইট স্পিনারদের টিপস দেওয়া সত্বেও তা কাজে লাগাতে পারলেন না সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীরা। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হেরে পরপর দুই ম্যাচে হারতে হল কলকাতাকে। তবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চাইছেন দলের অধিনায়ক নীতিশ রানা। ব্যাট হাতে পাননি তিনি, তবুও তিনি মনে করেন আরও ১৫-২০ রান করতে পারলে ম্যাচ জেতা সম্ভব হত।
ম্যাচ শেষে কেকেআর অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা যদি ১৫-২০ রান আরও বেশি করতে পারতাম, তাহলে এই ম্য়াচ আমরা জিততে পারতাম। তবে এরজন্য কৃতিত্ব দেওয়া উচিত পীযূষ চাওলাকে। পীযূষ ভাই খুব ভালো বল করেছে। তবে খারাপ লাগছে বেঙ্কির জন্য। শতরান করেও ম্যাচ জিততে পারলাম না। খুব ভালো খেলেছে ও। খুব খারাপ লাগছে ওর জন্য। তবে তোমার সেরা বোলাররা যদি রান দিয়ে ফেলে তাহলে সেই ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়।’
এই ম্যাচে সুনীল নারিনকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন ইশান কিষাণ। বোলারদের ব্যর্থতা যে বেশ চাপে রেখেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নাইট অধিনায়ক বলেন, ‘আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। ইশান খুব ভালো ব্যাট করেছে নারিনের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয়, পাওয়ারপ্লেতে আরও ভালো বোলিং করতে হবে আমাদের। আমি নিশ্চই আমাদের বোলিং বিভাগের সঙ্গে বসে আলাদা ভাবে কথা বলব। কারণ গত ম্যাচেও আমরা একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। এটা এই ভাবে চলতে পারে না। একটা-দুটো ম্যাচে এই পরিস্থিতি হতে পারে। তার মানে এই নয়, প্রায় সব ম্যাচেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে। আমি কথা বলব সবার সঙ্গে। এবং আশা করছি আমরা দ্রুত কামব্যাক করতে পারব।’
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)
For all the latest Sports News Click Here