এই হার থেকে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারি; RCB ম্যাচের পরে দার্শনিক সঞ্জু
রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন মঙ্গলবার ২০২২ আইপিএল-এর ১৩তম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে পরাজয়ের পরে হতাশা প্রকাশ করেছেন। দীনেশ কার্তিকের অপরাজিত চুয়াল্লিশ রান এবং শাহবাজ আহমেদের ৪৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসকে চার উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যঙ্গালোর।
ম্যাচের পর রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলেন,‘আমি একটা নির্দিষ্ট মুহূর্ত বলতে পারব না, কোথায় আমরা ম্যাচ হেরেছি। টস হেরে আমি ভেবেছিলাম আমাদের দল এত ধীর গতির উইকেটে দারুণ চেষ্টা করেছে। শেষ ওভারে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন জোস বাটলার ও শিমরন হেতমায়ার। শিশির আসা সত্ত্বেও শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা নিয়ে গিয়েছি, এটা আমাদের দারুণ প্রচেষ্টা ছিল।’
রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার জোস বাটলার ৪৭ বলে ৭০ রান করেন এবং শিমরন হেতমায়ার ৩১ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন। এরফলে স্কোর বোর্ডে রাজস্থান রয়্যালস ১৬৯/৩ রান করেন। শিশিরের কারণে আম্পায়ারকে বল পরিবর্তন করতে বলা হলে সঞ্জু জবাব দেন,‘না, আমি করিনি। আমি আমার বোলারদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। দীনেশ কার্তিক খুবই অভিজ্ঞ। মাঠ গোছানোর জন্য আমাদের সময় দরকার ছিল। এই পরাজয় থেকে আমরা অনেক নতুন ইতিবাচক কিছু বিষয় শেখেছি।’
১৭০ রান তাড়া করে,ফ্যাফ ডু’প্লেসি ২৯ রান এবং অনুজ রাওয়াত ২৬ রান করেন। ৫০ রানের জুটি করে এদিন আরসিবি দারুণ শুরু করেছিল। ডু’প্লেসিকে আউট করে আরসিবিকে প্রথম ধাক্কা দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। পরের ওভারে রাওয়াতকে আউট করেন নভদীপ সাইনি। এরপর বিরাট কোহলি পাঁচ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপরে ডেভিড উইলি খাতা না খুলেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন। শেরফেন রাদারফোর্ড ও শাহবাজ ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করেন। ১৩তম ওভারে সাইনির বলে আউট হন রাদারফোর্ড। আরসিবির স্কোর ছিল ৮৭/৫। শাহবাজ তখন কার্তিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। শাহবাজকে সাজঘরে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। এর পর কার্তিকের সঙ্গে হার্ষাল প্যাটেল আরসিবিকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
For all the latest Sports News Click Here