‘ঋতুস্রাবের অভিজ্ঞতা পুরুষদেরও দু’মাস হোক’, টুইঙ্কলের পিরিয়ড পোস্ট ভাইরাল
প্রতি মাসে সেই রক্তারক্তি, সেই এক গল্প। ভাললাগে আর? ঋতুস্রাবের সঙ্গে শুধু কি শারীরিক যন্ত্রণা জড়িয়ে? সমাজিক কটাক্ষ তো কম নয়। যেন পিরিয়ডস হওয়া মানে কত বড় অপরাধ করে ফেলেছে মেয়েরা। তথাকথিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজ চায় ঋতুস্রাব হলে মেয়েদের একঘরে করে দিতে। যেন ঋতুমতী হওয়াটা কোনও অভিশাপ, কিন্তু যদি উলটো ঘটে। যদি পুরুষদের ঋতুস্রাব হয়, তখন কেমন হবে ছবিটা? প্রশ্ন রাখলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক টুইঙ্কল খান্না।
আসলে মিসেস ফানিবোনসের লেখনি সবসময়ই চাঁচাছোলা। ঠোঁটকাটা হওয়ার জেরে বিতর্কেও জড়ান অক্ষয়-পত্নী। ইনস্টাগ্রাম নিজের ‘পিরিয়ড স্টোরি’ নিয়ে অকপটে পোস্ট করলেন মজাদার ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যাচ্ছে সপ্তাহের প্রতিটা দিন কেমন আনন্দে উদযাপন করেন তিনি, কিন্তু পিরিয়ড হলে দিনটা একদম আলাদা। ঋতুস্রাবের প্রথমদিন যাওবা কর্মক্ষমতা কিছুটা থাকে, দ্বিতীয় দিন সব শেষ। শরীরিক-মানসিক কষ্টে ভুগে কাহিল দশা। তা সত্ত্বেও ওইদিন সব কাজ গুছিয়ে করা, হয় বাড়ির কাজ নয়তো অফিসের- সবার মন জুগিয়ে চলা কম বড় চ্যালেঞ্জ নয় মেয়েদের কাছে। প্রতি মাসেই আসে নির্দিষ্ট সেই দিনগুলো। তার উপর সমাজ হাজারো প্রতিবন্ধকতা আরোপ করেছে, ধর্মস্থান, রান্নাঘরে ঢোকা নিষেধ। যেন সে কোনও গহীন অপরাধ করে ফেলেছে।
এই পোস্টের শেষে ‘প্যাডম্যান’ প্রযোজক লিখেছেন, ‘যদি পুরুষদেরও পিরিয়ড হত? আমি নিশ্চিত যে সেটি একটি উপভোগ্য বিষয় হত। পায়ের উপর পা তুলে বসে দেখতাম আমরা মেয়েরা। বেশি নয়, এই এক-দু’মাস মতো এই অভিজ্ঞতা পুরুষদেরও হোক।’
টুইঙ্কলের এই পিরিয়ড পোস্ট নিমেষে ভাইরাল। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘পুরুষদের পিরিয়ড হলে সে সময় দু’দিন করে ছুটি বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হত।’ অপর একজন লিখেছেন, ‘পুরুষরা রজঃস্বলা হলে দুনিয়াটা অনেকবেশি সহনশীল হত, সংবেদনশীলতায় কোনও ভেদাভেদ হত না’।
For all the latest entertainment News Click Here