উর্দু উচ্চারণ নিয়ে কটাক্ষ, দিলীপ কুমারের সঙ্গে ১৩ বছর কথা বলেননি লতা!
গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে রক্ষা পাননি বর্ষীয়ান গায়িকা। সঙ্গে দোসর হয় নিউমোনিয়া। স্বভাবতই চিন্তায় ঘুম উড়েছে ভক্তদের। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউ-তে চব্বিশ ঘন্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছেন তিনি।এই মুহূর্তে গায়িকার পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল।কোভিডের পাশাপাশি নিউমোনিয়ার চিকিৎসাও চলছে পুরোদমে। সুরসম্রাজ্ঞী দ্রুত সেরে উঠুন, এমনটাই প্রার্থনা তাঁর কোটি কোটি ভক্তের। কিংবদন্তি এই গায়িকাকে প্রকাশ্যে করোও সমন্ধে কটু কথা তো দূরের কথা, কারও প্রতি রাগ করতে দেখা গেছে কি না তাও আলোচনার বিষয়। তবে জানেন কি একটা সময়ে দিলীপ কুমারের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ ছিল তাঁর? কিংবদন্তি বলিউড তারকার উপর রাগ করে তাঁর সঙ্গে ১৩ বছর কথা বলা বন্ধ করেছিলেন লতা!
প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতার সঙ্গে দাদা-বোনের সম্পর্ক ছিল লতার। নিজের বোনের মতোই লতাকে স্নেহ করতেন ‘দিলীপ সাহাব’। দিলীপ কুমারকে বহু বছর ধরে রাখিও পরিয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী। তবে এমন কী হল যার জন্য বাক্যালাপ বন্ধ হয়ে গেল এই দু’জনের মধ্যে? একবার সলীল চৌধুরীর ‘মুসাফির’ ছবি ‘লাঘি না ছোট’ গানটি গাওয়ার জন্য দিলীপ কুমারকে নির্বাচন করা হয়েছিল, এদিকে লতা জানতেন না তিনি দিলীপের সাথে গান গাইবেন। সেই গানকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
উর্দু ভাষায় দুর্দান্ত পারদর্শী ছিলেন দিলীপকুমার। সেই ভাষার উপর অসম্ভব দখল ছিল তাঁর। বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ অনিল বিশ্বাসকে ‘মুঘল-এ-আজম’ এর নায়ক জিজ্ঞেস করেছিলেন লতা কোন শহরের? জবাবে জানতে পেরেছিলেন মহারাষ্ট্রের। শোনামাত্র তিনি মন্তব্য করেছিলেন মহারাষ্ট্রবাসীরা গান গাইতে ওস্তাদ হলেও তাঁদের উর্দু উচ্চারণ মোটেও অতটা সাবলীল নয়। কথাটা কোনওভাবে কানে গিয়েছিল লতার। এতটাই তাঁর খারাপ লেগেছিল যে তাঁর ‘দাদা’র সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপর নিজের উর্দু উচ্চারণ আরও নিখুঁত করে আলাদা করে উর্দুর প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। যএর বহু বছর পর ১৯৭০ সালে ফের কথা বলা শুরু হয় দিলীপ কুমার এবং লতা মঙ্গেশকরের।
For all the latest entertainment News Click Here