উমরান কি আখতারের গতিকে ছুঁতে পারবেন? সচিনের উদাহরণ টেনে পাক প্রাক্তনীর উত্তর
আইপিএল ২০২১-এ যখন উমরান মালিককে দেখে সকলেই চমকে গিয়েছিলেন। তখন গোটা ক্রিকেট বিশ্ব তাঁর গতি সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেছিল। এক মরশুম পরে, যখন তিনি ১৫৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করেছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের তুলনা টানতে শুরু করেছিল সকলে। সেই সময়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে উমরান মালিক এই গতিকে ছুঁয়ে ফেলেচিলেন। এরপর অভিজ্ঞ এবং গ্রেটদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিলেন এই তরুণ ভারতীয় বোলার। এরপর শোয়েব আখতারের সঙ্গে তুলনা হতে থাকেন এবং পাক তারকার প্রতিটি উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের সঙ্গে এখন ভারতীয় দলের তারকার আলোচনা হচ্ছে। এটি দিনে দিনে ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকরের উপমা ব্যবহার করে এবার উমরানের সঙ্গে আখতারের তুলনা বোঝালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সলমন বাট।
আরও পড়ুন… Pak vs NZ: অভিষেকেই চমক পাক স্পিনারের, উসমান মিরের বলে আউট হয়ে অবাক কেন উইলিয়ামসন
উমরান মালিক বর্তমানে প্রতিনিয়ত ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে বল করছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রতিক যেখানে তিনি অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ১৫৫ কিলোমিটার বেগের বল দিয়ে আউট করেছিলেন। এরপরে প্রাক্তন ও বিশেষজ্ঞরা উমরানের আরও প্রশংসা করছেন। এমন সময়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে সলমন বাট উমরান মালিক ও হ্যারিস রাউফ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোথায় উমরান মালিক এবং পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ? তাঁরা কি শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙতে পারবে? এর জবাবে সলমন বাট বলেন, ‘কিংবদন্তি পেসারের ক্ষমতার কাছাকাছি কোথাও নেই এই দুই পেসার।’ পাকিস্তানের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ব্যাখ্যা করেছেন যে আখতার তিনটি ফর্ম্যাটই খেলেছেন এবং ধারাবাহিকভাবে ১৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে বল করেছিলেন, এই দুই তরুণ এখনও পর্যন্ত সেই ‘ইউনিকনেসটা’ বা বিশেষত্বটা দেখায়নি।’
আরও পড়ুন… Gareth Bale Retirement: সব ধরনের ফুটবল থেকে আচমকাই অবসর নিলেন গ্যারেথ বেল
সলমন বাট বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত, তারা দুজনেই শোয়েবের রেকর্ড থেকে অনেক দূরে রয়েছেন। কিন্তু এটাও ঠিক যে রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। তাই কে জানে। কিন্তু শোয়েব তিন ফর্ম্যাটেই খেলতেন এবং লম্বা স্পেলে বল করতেন। তিনি শুধু দ্রুত ছিলেন না, তিনি একজন চতুর বোলার ছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটেও তিনি জানেন কীভাবে ব্যাটসম্যানদের আউট করতে হয়। এমনকি যখন তিনি ৩৯ বছর বয়সে ভারতে তাঁর শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। তিনি ঘণ্টায় ১৫৯ কিলোমিটার বল করেছিলেন। ছয় ধাপ রান আপ করেও তিনি এত দ্রুত বল করতে পারেন। তিনি যে অনন্যতা বহন করেছেন, আমি উমরান বা হ্যারিসের মধ্যে তা দেখতে পাইনি। কিন্তু তারা দুই জনেই তরুণ তাই যে কোনও কিছু ঘটতে পারে। কিন্তু আমি শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমরা কার সঙ্গে তুলনা করছি। এটা বলার মতো যে একজন ব্যাটসম্যান যদি সেন্সের হ্যাটট্রিক করেন, তাহলে আমরা বলি সে সচিনের রেকর্ড ভাঙতে পারে। এটা ১০০ সেঞ্চুরি। মানুষ তাদের ক্যারিয়ারে এত ম্যাচও খেলে না। তারা হয়তো সেই পেসের এক-দুটি ডেলিভারি বল করতে পারে, কিন্তু তারা কি এত বড় বোলার হবে তা সময়ই বলে দেবে।’
For all the latest Sports News Click Here