‘উনি তো যোগাযোগই রাখেননি!’, অমিতাভকে নিয়ে কী অভিযোগ সলমনের বাবা সেলিমের
সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার ১৯৭৩ সালে জঞ্জির দিয়ে হিন্দি সিনেমায় জন্ম দিয়েছিলেন অ্যাংরি ইয়ংম্যানের। এই সিনেমা বদলে দিয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের ভাগ্য। বিগ বি-র কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বললেও ভুল হয় না এই সিনেমাকে। সম্প্রতি ছেলে আরবাজ খানের চ্যাট শো-তে এসে সলমনের বাবাকে কথা বলতে শোনা গেল, কীভাবে অমিতাভ তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছেন। বিশেষ করে সেই বিখ্যাত সেলিম-জাভেদ বিচ্ছেদের পর।
সেলিম খান জানান, ধর্মেন্দ্র, দেব আনন্দ এবং দিলীপ কুমার ফিরিয়ে দিলে সেই অফার যায় অমিতাভ বচ্চনের কাছে। সেই সময়ে অমিতাভের সঙ্গে কোনও শীর্ষ স্থানীয় অভিনেত্রী কাজ করতে না চাইলে সেই অফার যায় জয়া বচ্চনের কাছে। সেলিমের কথায়, ‘আমিই অফার দিয়েছিলাম যে জয়া বচ্চনকে নিয়ে নাও। উনি এটা করবেন, অমিতাভের জন্যই করবেন। যখন জয়াকে গল্পটা বললাম ও শুনে বলল আমার তো এই সিনেমায় বেশি কিছু করার নেই। আমি উত্তরে বলেছিলাম হ্যাঁ আপনার কিছুই করার নেই মানছি, কিন্তু অমিতাভজির জন্য ধামাকেদার সিনেমা হবে এটা। বদলে দিতে পারে অমিতাভের কেরিয়ার।’
সেলিম অমিতাের ব্যাপারে আরও বলেন, ‘সম্পর্ক বজায় রাখার দায়িত্ব ছিল ওঁর। আপনি যখন বড় তারকা হয়ে যান, তখন সম্পর্ক বজায় রাখার দায়িত্ব আপনার উপরেই বর্তায়। যেটি কোনো কারণে উনি করেননি।’
১৯৮৯ সালে তুফান সিনেমায় সেলিম-জাভেদের বিচ্ছেদের পর অমিতাভ এবং সেলিম আবার কাজ করেছিলেন একসঙ্গে। কিন্তু সেই সম্পর্ক ছিল পুরোপুরি পেশাদার, কোনও বন্ধুত্ব ছিল না সেখানে। সেলিম বলেন, ‘আমি কখনই দাবি করিনি যে আমরা খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। শুধু আমার সঙ্গে নয়, তিনি কাউকেই নিজের কাছে আসতে দেন না। আমরা পেশাদারভাবে কাজ করেছি, এবং আমরা ভালো কাজ করেছি।’
আরবাজ খানের টক শো-তেই সেলিম জানান প্রথম স্ত্রী হিন্দু হওয়ায় বিয়েতে এসেছিল অনেক সমস্যা। মুসলিম সেলিমকে মানতে চায়নি সালমার পরিবার বিশেষ করে তাঁর বাবা। লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করার পর নিজে যেচেই গিয়েছিলেন হবু শ্বশুরবাড়িতে। সঙ্গে জানান, হেলেনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত যখন তিনি সালমা আর ছেলেমেয়েদের জানিয়েছিলেন তখন সকলেই অখুশি হয়েছিল। কয়েকমাস তাঁর সঙ্গে কথাও বলেনি কেউ। যদিও এখন পরিবারের সকলেই ভালোবেসে মেনে নিয়েছে ‘হেলেন আন্টি-কে।
For all the latest entertainment News Click Here