উদয় চোপড়ার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়েছিলাম, ‘দেখে বাবা কথা বন্ধ করেন’, অকপট শমিতা
সালটা ২০০০। মুক্তি পেয়েছিল ‘মহব্বতে’ ছবিটি। আদিত্য চোপড়া পরিচালিত সেই ছবিতে উদয় চোপড়ার নায়িকা হয়েছিলেন শমিতা শেঠি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘মহব্বতে’ছবির অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন শমিতা। তাঁর কথায়, সেসময় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করাটা মোটেও সহজ ছিল না। তার উপর সেই ছবিটিই ছিল শমিতার ডেবিউ ছবি। কিন্তু তার পরেও বাঁধাধরা ছাঁচের বাইরে গিয়ে সেসময় উদয় চোপড়ার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন শিল্পা শেঠির বোন শমিতা। যাার জন্য ব্যক্তিগত জীবনে অবশ্য সমস্যায় পড়তে হয়েছিল শমিতাকে।
‘জুম’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শমিতা বলেন, ‘সেই সময়ে অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলি একপ্রকার নিষিদ্ধ ছিল বললেও হয়ত ভুল হয় না। অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই তাতে বিশেষ স্বচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমার বাবা ওই একটা চুম্বনের কারণে আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এক মাস তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি। তখন আমি খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম কারণ আমি আমার বাবার খুব কাছের ছিলাম। তবে সময়ের সঙ্গে সবই বদলেছে, এখন এটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। বাবাও অবশ্য পরে বুঝতে পেরেছিলেন, কিন্তু তারপরে আমি অনস্ক্রিন আর কাউকে চুমু খাইনি।’
প্রসঙ্গত, ‘মহব্বতে’ ছবিতে বিক্রম কাপুরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উদয় চোপড়া, আর শমিতা অভিনয় করেছিলেন ঈশিকা ধানরাজগির-এর চরিত্রে। ছবির একটি দৃশ্যে উদয়ের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিতে দেখা যায় শমিতাকে।
তারকাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই ট্রোলের মুখে পড়তে হয়। এপ্রসঙ্গে শমিতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ট্রোলিংকে পাত্তাও দিই না। অনেকে তো বলেন আমার বয়স হয়েছে, এবার বিয়ে করা উচিত, তবে এসব কথায় কিছু যায় আসে না আমার।’ শমিতার কথায়, তাঁর দিদি শিল্পা তাঁকে বলেছেন, ‘তুমি এখন সেলিব্রিটি, তাই সবকিছু ব্যাখ্যাও দিতে যাবে না, অভিযোগও করবে না।’ শমিতা জানান, তাঁর কাছে মানসিক স্বাস্থ্য় যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর এর জন্য তিনি নিয়মিত ধ্যান করেন।
For all the latest entertainment News Click Here