উত্তম-অপর্ণার কালজয়ী ছবি ফিরছে নতুন রূপে, উজ্জ্বল বসুর মেমসাহেব আসছে বড় পর্দায়
সময়টা ১৯৬০ সালের আশপাশে। মুক্তি পেল নিমাই ভট্টাচার্যের লেখা ‘মেমসাহেব’ উপন্যাস। লেখকের এই উপন্যাস মুক্তি পেতেই দারুণ জনপ্রিয়তা পায় সেটা। তারপরই ১৯৭২ সালে এই উপন্যাসের গল্প অবলম্বনে তৈরি হয় একই নামের সেই কালজয়ী ছবি। মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বাংলার চিররঙিন নায়ক উত্তম কুমার এবং অপর্ণা সেনকে। বক্স অফিসে রীতিমত হিট করেছিল এই ছবি। আবার সেই কালজয়ী ছবি নতুন রূপে, নতুন ভাবে বড় পর্দায় ফিরতে চলেছে।
এখন উপন্যাস থেকে ছবি তৈরি হওয়ার অর্থই হচ্ছে কোনও না কোনও গোয়েন্দা চরিত্রের পর্দায় প্রত্যাবর্তন। সে ফেলুদা বলুন কিংবা ব্যোমকেশ, মিতিন মাসি, বা অন্য কিছু। ইদানীংকালে অন্য ধরনের গল্প নিয়ে উপন্যাস থেকে ছবি তেমন বানানোই হয় না। হাতে গোনা, দু একটা ছবি ছাড়া। এর মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের তৈরি করা ‘শাহজাহান রিজেন্সি’। এই ছবিটি শঙ্করের ‘চৌরঙ্গী’ গল্প অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছিল। এবার বড় পর্দায় আবার ফিরছে ‘মেমসাহেব’। অর্থ নিমাই ভট্টাচার্যের মেমসাহেব।
উজ্জ্বল বসু এই গল্পটি নিয়ে আবার কাজ করতে চলেছেন বড় পর্দায়। এই পরিচালক এর আগে ক্রাউড ফান্ডিং করে একটি ছবি বানিয়েছিলেন। সেই ছবির নাম ছিল ‘দুধপিঠের গাছ’। এবার তিনি পুরোদস্তুর বড় পর্দার জন্য ছবি বানাতে চান। আর তার জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ‘মেমসাহেব’।
কিন্তু হঠাৎ এত বছর পর ‘মেমসাহেব’ ছবিটিকে বড় পর্দায় আনার কারণ কী? উত্তরে পরিচালক আনন্দবাজারকে জানান, ‘রোমিও জুলিয়েটের মতো আমার কাছে এই গল্পটা। মেমসাহেব একটা নিখাদ প্রেমের গল্প, আর প্রেম কাহিনি চিররঙিন। সেটা কখনও পুরনো হয় না। এটা কিন্তু উত্তম কুমার এবং অপর্ণা সেন অভিনীত ছবির রিমেক নয়। মূল গল্পটা থেকেই আমি আমার ছবি বানাব।’
প্রসঙ্গত উজ্জ্বল জানিয়েছেন তিনি এই গল্পকে বর্তমান সময়ের আলোয় তুলে ধরবেন। আপাতত প্রকাশকের থেকে তিনি এই গল্পের সত্ব কিনেছেন। এখন চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তবে উত্তম- অপর্ণার জায়গায় কাদের দেখা যাবে এই ছবিতে সেটাও এখনও সুস্পষ্ট নয়।
For all the latest entertainment News Click Here