উইকেটে ঘাস আছে, বাউন্স আছে, রঞ্জির নকআউট পর্বের আগে চিন্তায় বাংলার কোচ অরুণলাল
সোমবার থেকে বেঙ্গালুরুতে রঞ্জি ট্রফি নকআউট পর্ব শুরু হচ্ছে। ২০১৯-২০ সালে রঞ্জির ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে যাওয়ার পর বাংলার প্লেয়াররা এ বার জিততে মরিয়া। আর তার জন্যই নক আউট পর্বের প্রথম ধাপ পার করতে মরিয়া। অভিমন্যু ঈশ্বরণের নেতৃত্বাধীন দল কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ঝাড়খণ্ডের। প্রসঙ্গত রঞ্জির লিগ পর্বের প্রায় ২ মাস ব্যবধানের পর শুরু হচ্ছে নক আউট পর্ব।
বাংলা অবশ্য একটু আগেভাগেই বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দু’টি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছ। জাস্ট ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ড হবে বাংলার ছেলেদের জন্য একটি নতুন ভেন্যু। প্রধান কোচ অরুণ লাল বলেছেন, ‘এখানকার উইকেট খুব আলাদা। ঘাস আছে, প্রচুর বাউন্স আছে। বল সিম হবে এবং আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
বাংলার ব্যাটসম্যানরা কত রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। কারণ বাংলার বোলারদের এই মরশুমে কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে বের করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। অধিনায়ক ঈশ্বরণকে বরং অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। সামনে থেকে তাঁকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি, অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার এবং রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির উপর বড় রান করার জন্য নির্ভর করবে বাংলা।
অরুণ লালের দাবি, ‘আমরা অবশ্যই তি নজন পেসার নিয়ে খেলব, আমাদেরকে চতুর্থ পেসার বা স্পিনার পছন্দ করতে হবে।’ বাংলা তার পেস বোলিং শক্তি ইশান পোরেল (১৪ উইকেট), মুকেশ কুমার (১৫ উইকেট) এবং আকাশ দীপকে (১০ উইকেট) এই কন্ডিশনে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারবে বলে, আশা করা হচ্ছে। বাংলা এই ট্র্যাকে মহম্মদ শামিকে মিস করবে, যাকে বিসিসিআই খেলার অনুমতি দেয়নি।
তবে, ঝাড়খণ্ডের পেসার রাহুল শুক্লাকে নিয়েও বাংলার ব্যাটসম্যানদের সতর্ক হওয়া উচিত, যিনি এই মরসুমে লিগ পর্বে দায়িত্ব নিয়ে একা তামিলনাড়ুকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঋদ্ধিমান সাহা বাংলার হয়ে খেলতে রাজি হননি। তবে তাঁকে ঘিরে বিতর্ক মাঠের খেলায় খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না, কারণ ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী সদস্য অভিষেক পোরেল ইতিমধ্যেই উইকেটের পিছনে নজর কেড়েছেন।
এ দিকে আইপিএল মরশুমের পরে শাহবাজ আহমেদ দলে ফিরে আসায়, বাংলা লোয়ার অর্ডার থেকেও কিছু রান পাওয়ার আশা করবে। এই রান করার ক্ষেত্রে কিন্তু ঝাড়খন্ডও পিছিয়ে থাকবে না। কারণ তারা তাদের প্রাক-কোয়ার্টার ফাইনালে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় রানের স্কোর করে। সেই ম্যাচে তারা ১০০৮ রানের লিড নিয়েছিল। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারি, বিরাট সিং এবং উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুমার কুশাগ্রার মতো ব্যাটসম্যানরা ঝাড়খণ্ড টিমের ব্যাটিং অর্ডারের বড় শক্তি। শাহবাজ নাদিম এবং অনুকুল রায়ের স্পিনিং জুটি যে কোনও ট্র্যাকে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। তাই বাংলাকে কিন্তু চাপেই থাকতে হচ্ছে।
For all the latest Sports News Click Here