উইকেটকিপিংয়ে আলাদা মান যোগ করে,ও সেরা- হার্দিক গদগদ হলেও জাতীয় দলে ব্রাত্য ঋদ্ধি
শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের ঘরের মাঠেই তাদের ৯ উইকেটে হারিয়ে মরশুমের সপ্তম জয় পেল গুজরাট টাইটান্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান মাত্র ১৭.৫ ওভারে ১১৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। এর পর রান তাড়া করতে নেমে ১৩.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ৩৭ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। বলের ব্যবধানে নিজেদের ঘরের মাঠে এটাই রাজস্থানের সবচেয়ে বড় পরাজয়। এ দিকে এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত যে ৪৯টি ম্যাচ খেলা হয়েছে, তার মধ্যে গুজরাটের এই জয় সবচেয়ে বড়।
‘রশিদের স্পিন বিভাগে হস্তক্ষেপ করি না’
এই জয়ের পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টানা দ্বিতীয় বার প্লে অফে ওঠার পথকে আরও মজবুত করে ফেলল। এমন পরিস্থিতিতে উচ্ছ্বসিত হার্দিককে প্রশ্ন করা হয় আপনার নিজের দলের দুই স্পিনার (রশিদ খান ও নূর আহমেদ) নিয়ে কী বলবেন? এর জবাবে হার্দিক বলেন, ‘সত্যি বলতে স্পিনের বিষয় নিয়ে ওর সঙ্গে আমার কোনও আলোচনা হয় না। নুর আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে রশিদই সবটা সামলায়। ওরা একই ভাষায় কথা বলে, তাই কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল করছে, এই আলোচনার জন্য রশিদের চেয়ে ভালো আর কেউ হতে পারে না।’
আরও পড়ুন: পাওয়ার প্লে-তেই শুরুটা ভালো হয়নি- ব্যাটারদের উপর রেগে লাল সঞ্জু
তিনি আরও বলেন, ‘স্পিন নিয়ে আমাকে খুব বেশি কিছু ভাবতে হয় না, আমি শুধুমাত্র কখন একটি স্লিপ নিতে হবে, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিই। ওরা যা করতে চায়, সেই সম্পর্কে ওরা খুব আত্মবিশ্বাসী। আমরা তখনই কথোপকথন করি, যখন জিনিসগুলি সঠিক ভাবে কার্যকর হয় না।’
‘ঋদ্ধিমান সাহা সেরা উইকেটরক্ষক’
গুজরাটের হয়ে উইকেটের পিছনে পুরো বাজপাখি বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা জুগিয়েছেন। ৩৪ বলে অপরাজিত ৪১ করে গুজরাটকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ঋদ্ধিমান সাহার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে হার্দিক বলেছেন, ‘আমি সব সময়ে বিশ্বাস করি যে, ও সেরা উইকেটরক্ষক। রশিদ খান ও নুর আহমেদের ডেলিভারিতে কিপিং করা সহজ কাজ নয়। ওরা যে ভাবে বোলিং করে এবং যে গতিতে বোলিং করে, তাতে উইকেটকিপিং কঠিন। মানুষ মনে করে, উইকেটকিপিংটা কোনও বিষয়ই নয়। কিন্তু উইকেট কিপিংয়ে আলাদা মান যোগ করে। ও ওর কাজটা সূক্ষ্ম ভাবে করে। এটা অসাধারণ।’
আরও পড়ুন: ইতিহাস পাকিস্তানের, অজি-ভারতকে কাঁচকলা দেখিয়ে প্রথম বার ODI র্যাঙ্কিংয়ের মগডালে বাবররা
‘ম্যাচ চলাকালীন শান্ত থাকার চেষ্টা করি’
ধোনির মতো ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হয়ে উঠছেন হার্দিক? এর জবাবে গুজরাট অধিনায়ক বলেন, ‘মাঠে আমি সেটা করার চেষ্টা করি। শেষ পর্যন্ত মাঠে পেশাদার খেলোয়াড় হতে হবে। যতক্ষণ আমরা আমাদের কাজ করছি, ততক্ষণ আমরা খুব শান্ত থাকি। কিন্তু এর পর যখনই আমরা মাঠের বাইরে আলোচনা করি, আমরা একে অপরকে উত্যক্ত করতে থাকি। সেই কোচ আশিস নেহরা হোক না কেন। আমরা ভালো ছেলে, কিন্তু মাঠেও নির্মম।’
‘গত ম্যাচের ভুল শুধরিয়েছি এই ম্যাচে’
নিজের ১৫ বলে অপরাজিত ৩ে৯ রানের ইনিংস নিয়ে হার্দিক বলেন, ‘শেষ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে কিছু ভুল করেছিলাম। শুভমন গিল আউট হলেও, আমার কাজটা অর্ধেক করে দিয়েছিল। একই সঙ্গে আমরা শেষ ম্যাচ নিয়ে ভাবারও সুযোগ পেয়েছি। আমি ভুলের দায়িত্ব নিতে কখনও-ই পিছপা হইনি। আমি যখন ভুল করি, আমি তা মেনে নিই। গ্রহণযোগ্যতা আপনার জীবনে শেখার সবচেয়ে বড় চাবিকাঠিগুলির মধ্যে একটি। গত ম্যাচ এবং এই ম্যাচে যা হয়েছে, তা আমার জন্য একটি শিক্ষা।’
For all the latest Sports News Click Here