‘ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি’… ঋত্বিকের কটাক্ষে ‘যোগ্য’ জবাব সব্যসাচীর
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা গত ১৫ দিন ধরে লড়াই করছেন মৃত্যুর সঙ্গে। তবে শুক্রবার রাতে আশার আলো দেখিয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী। বরাবরের মতো এবারেও শেয়ার করে নিয়েছেন অভিনেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে খুঁটিনাটি। তবে সঙ্গে আরেকটা যে বিষয়ের উপরে তিনি নিজের লেখায় জোর দিয়েছেন তা হল অভিনেত্রীর নাম করে আজকাল অনলাইনে যা চলছে সেদিকটা। কেউ পরিবারের হয়ে টাকা তোলার কথা বলছে, তো কেউ আবার দাবি করছে ‘ভগবান ফেসবুকে থাকে না’, একটা জ্যান্ত মেয়ের মারা যাওয়ার ভুয়ো খবর ছড়াতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল RIP লেখার প্রতিযোগিতা।
তবে হাসপাতালে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে যারা লড়াই চালাচ্ছেন তাঁদের কাছে এটা যে কতটা বিভীষিকা তাই ফুটে উঠল সব্যসাচীর লেখায়। লিখলেন, ‘একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ চেষ্টা করে তার কাছের মানুষের পাশে থাকতে, বিপদে পড়লে খড়কুটো অবধি আঁকড়ে ধরতে। সেটাই তো এতদিন স্বাভাবিক বলে জেনে এসেছি। আমার মা অসুস্থ হলে, বাবা যেমন দৌড়াদৌড়ি করেন, গত দুই বছর ধরে আমিও সেটাই করেছি। তাই কিছু পুরোনো ছবি আর ভিডিও সাজিয়ে, গান বাজিয়ে সেটাকে গ্লোরিফাই করা বন্ধ করা উচিত। এমন কি একটা লকডাউনের সময়কার তারাপীঠের ভিডিও পর্যন্ত ঐন্দ্রিলার নাম করে ঘুরপাক খাচ্ছে দেখলাম। আমি ঠিক জানি না, এগুলো করে বোধহয় তোমাদের চ্যানেল বা পেজ পয়সা পায় কিন্তু বিষয়টা আমার চোখে খুবই দৃষ্টিকটু লাগে।’
ঋত্বিক চক্রবর্তীর বুধবার হঠাৎ ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘অনেককেই দেখি নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যার কাছে প্রার্থনা করা হয় তিনি ফেসবুক করেন তো’। কারওরই বুঝতে সমস্যা হয়নি কী এর অর্থ। পরে যদিও অভিনেতা ক্ষমা চান। বলেন তাঁর মাথাতেই আসেনি ঐন্দ্রিলার ব্যাপারটা। তবে ক্ষমা করতে রাজি নয় নেটপাড়া। কথাটা যে গায়ে লেগেছে সব্যসাচীরও তা স্পষ্ট তাঁর কালকের পোস্টে। কোনও রাখঢাক না করেই লিখলেন, ‘ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন, ‘ফোন’ থেকে করুন লিখিনি। চিকিৎসাশাস্ত্রে যে বিজ্ঞানই শেষ কথা, আমি সে কথাও জানি। তবে পর পর তিনজন নিউরোসার্জন যদি বলেন ‘ঈশ্বরকে ডাকুন’, তাহলে আর না ডেকে উপায় কি? ওনাদের তুলনায় আমি নিতান্তই অশিক্ষিত।’ অনেকেই এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে লিখেছেন এবারে ‘যোগ্য’ জবাব দিয়েছেন তিনি।
সঙ্গে এই যে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার খরচ নিয়ে এত পোস্ট, সেটাও অর্থহীন বলে লিখলেন পরদার বামা। লিখলেন, ‘চিকিৎসার খরচ নিয়ে লেখালিখি বন্ধ করা উচিত, পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ীই চিকিৎসা হবে, এখনো অবধি কারোর কাছে এক পয়সাও অর্থসাহায্য চাওয়া হয়নি অথবা কারোর থেকে এক পয়সাও গ্রহণ করা হয়নি। তাই এটা নিয়ে লেখা মানে ঐন্দ্রিলাকে অপমান করা এবং তার পরিবারকে ছোট করা। নিজের অপমান গায়ে মাখি না ঠিকই কিন্তু ওর অপমানে আমার গায়ে ফোস্কা পড়ে।’
আপাতত গোটা বাংলার মানুষ মন থেকে চাইছে ঐন্দ্রিলা ধরে ফিরুক, আবার সব্যসাচীর হাতটা ধরে ছবি দিক। এই মেয়েটাকে সবাই যে অনেকটা ভালোবেসে ফেলেছে। এ ভালোবাসার টান কী এত সহজে কাটানো যায়!
For all the latest entertainment News Click Here