ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত আর বরখা বিস্ত একে-অপরের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন আগেই। প্রথমদিকে সব ঠিক আছে দেখানোর চেষ্টা করলেও তা এখন অতীত। ইন্দ্রনীলের নাম আগেই জড়িয়েছে অভিনেত্রী ইশা সাহার সঙ্গে। এখন খবর প্রেমে পড়েছেন বরখাও। চেপে রাখার চেষ্টা চললেও তা এখন প্রকাশ্যে। ইন্ডাস্ট্রির আনাচে-কানাচে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।
খবর বলছে, ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী বলিউড অভিনেতা-প্রযোজক আশিস শর্মার প্রেমে পড়েছেন? দুজনে আজকাল প্রায়ই যাচ্ছেন ইতিউঁতি। পার্টি করছেন। সোমবার আশিস শর্মার বাড়িতে তাঁর জন্মদিনের পার্টিতে বন্ধুদের নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বরখা। খবর মিলছে, দম্পতি নাকি একসঙ্গে নাচও করেছেন। এই সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল বছরখানেক আগে। প্রথমে বন্দুত্ব তারপর প্রেম। তবে এই ব্যাপারে মুখ কুলুপ এঁটেছেন দুজনেই। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে নারাজ আশিস-বরখা দুজনেই। এদিকে আশিসও বিবাহিত, অভিনেত্রী অর্চনা তাইদেকে বিয়ে করেছেন ২০১৩ সালে। আরও পড়ুন: ‘বিয়ে নিয়ে নাটক!’ ডিভোর্স বিতর্কের মাঝেই জন্মদিনে মাখোমাখো প্রেম রাজীব-চারুর
ইন্দ্রনীলের সঙ্গে এখনও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। আলাদা থাকলেও এখনও ইন্দ্রনীলের পদবিই ব্যবহার করেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আইনত আমি এখনও ওঁর স্ত্রী। যেদিন আইনি মতে ডিভোর্স হয়ে যাবে সেনগুপ্ত পদবিও আর ব্যবহার করব না। আরও পড়ুন: উইল বানিয়ে ফেললেন নাকি রণবীর! ‘কাপুরদের উত্তরাধিকার’ রাহাকে দিতেই এই সিদ্ধান্ত?
১৩ বছরের দাম্পত্য ভেঙেছেন তাঁরা। দুজনের ১০ বছরের একটি মেয়েও আছে। গত বছর ইশার সঙ্গে প্রেমের ব্যাপারে প্রশ্নে ‘ফেলুদা’ ইন্দ্রনীলের জবাব ছিল, ‘এমন গুঞ্জন আমারও কানে এসেছে। তবে এই নিয়ে আমি মন্তব্য করিনি। ইশা সাহাও করেনি। কোনও তৃতীয় ব্যক্তি যদি আমাদের নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে সেই মামলায় আমাদের কিছু করার নেই।’ ইন্দ্রনীলের আরও সংযোজন, ‘আমি কার সঙ্গে চ্যাট করছি সেটা আমি ছাড়া কারুর জানবার কথা নয়, আমি ওতোটাও বোকা নই। অন্য কারুর ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে পড়বার মনোবৃত্তিটা আমার পছন্দ নয়।’
‘তরুলতার ভূত’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সময়ই নাকি ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ইশা-ইন্দ্রনীলের। তার জেরেই বরখার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। ২০০৮-র ১ মার্চ সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন ইন্দ্রনীল-বরখা।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here
