ইন্দোনেশিয়া থেকে অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ সরালো ফিফা
শুভব্রত মুখার্জি: আসন্ন অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপের আসর বসার কথা ছিল ইন্দোনেশিয়াতে। সেই বিশ্বকাপেই অংশ নিত ইজরায়েল। যাদের অংশ নেওয়াকে ঘিরে ইন্দোনেশিয়াতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। সেই অস্থিরতার কারণেই অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করতে প্রস্তুত নয় বলেই মত ফিফার। ফলে ইন্দোনেশিয়া থেকে বিশ্বকাপ সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা! মে মাসেই ইন্দোনেশিয়াতে হওয়ার কথা ছিল এই বিশ্বকাপের। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাধ সাধল। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ইন্দোনেশিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিশ্বকাপকে। ফলে কিছুটা হলেও আশাহত হয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের কর্তা ব্যক্তিরা। কারণ তাঁদের শেষ মুহূর্তের সব চেষ্টা গিয়েছে বিফলে।
ইন্দোনেশিয়াতে ২০ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল এই টুর্নামেন্টের। এই বছরে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ২৪টি দল। দোহাতে এক মিটিংয়ে বসেছিলেন ফিফার কর্তারা। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিওভান্নি ইনফান্তিনো এবং ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এরিক তোহির। সেখানেই দীর্ঘ আলোচনার পরে এই সিদ্ধান্ত হয়। এরিকের সমস্ত যুক্তিকে কার্যত খারিজ করে দেন ইনফান্তিনো। গত বছরে জুনেই এই টুর্নামেন্টের জন্য কোয়ালিফাই করেছিল ইজরায়েল। তাঁদের ফুটবল ইতিহাসে যা ঘটে প্রথমবার। বালিতে শুক্রবার হওয়ার কথা ছিল এই টুর্নামেন্টের ড্র। আর সেই ড্রয়ে ইজরায়েলের উপস্থিতির কারণেই ইন্দোনেশিয়াতে বিক্ষোভের ঝড় ওঠে। যার ফলে বিশ্বকাপ সেই দেশ থেকে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিল ফিফা।
বিশ্বে ইন্দোনেশিয়া এমন একটি দেশ যেখানে বসবাসকারী মুসলিমদের জনঘনত্ব সবথেকে বেশি। এই দেশটির কোনও ফর্ম্যাল সম্পর্ক নেই ইজরায়েলের সঙ্গে। তবে জনসমক্ষেই ইন্দোনেশিয়া, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গিয়ে প্যালেস্তাইনকে সমর্থন করে। ফলে দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে ভালো নয়। দেশে বিক্ষোভের ফলে ফিফা তাদের এই ড্র আয়োজনের অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিয়েছিল। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল বিশ্বকাপ সরে যেতে পারে। যা এবার বাস্তবে রূপ নিল। তবে ইন্দোনেশিয়ার পরিবর্তে কোন দেশ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে তা এখনও খোলসা করে বলা হয়নি ফিফার তরফে। ইন্দোনেশিয়ার ছটি স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল খেলার। জানা যাচ্ছে বিশ্বকাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা আর্জেন্তিনা এই বিশ্বকাপের আয়োজন করতে মুখিয়ে রয়েছে।
For all the latest Sports News Click Here