ইতিহাস বদলে দিলেন রাজকুমার! গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধের ট্রেলারে ধরা পড়ল কোন টুইস্ট
প্রায় এক দশক পর নতুন ছবি নিয়ে ফিরে এলেন রাজকুমার সন্তোষী। তাঁর আগামী ছবির নাম ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’। এই ছবিতে তুলে ধরা হবে এক অদ্ভুত অ্যাঙ্গেল। নাথুরাম হামলা করার পর গান্ধীজির কী পরিণতি, তাঁকে ছাড়া দেশ কোন পথে এগিয়েছে সেটা আমরা সবাই, দেখেছি, শুনেছি। কিন্তু যদি সেদিনের হামলার পরেও গান্ধীজি মারা না যেতেন তবে? যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তাহলে বিষয়টা কেমন হতো? পরিস্থিতি কোন দিকে যেত? এই ছবিতে ঠিক সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার, ১১ জানুয়ারি মুক্তি পেল রাজকুমার সন্তোষীর নতুন ছবি ‘গান্ধী গডসে এক যুদ্ধ’-এর ট্রেলার। এই ছবিতে চিন্ময় মান্ডলেকরকে দেখা যাবে গডসের ভূমিকায়। অন্যদিকে দীপক অ্যান্টনিকে দেখা যাবে গান্ধীর চরিত্রে।
এই ছবিতে ফুটে উঠেছে দেশের এক টালমাটাল অবস্থার কথা। একদিকে তখন ১৯৪৭ সালের দেশভাগের ভয়াবহতা, অন্যদিকে নতুন নতুন ভাবনা জন্ম নিচ্ছে। ধর্মের কারণে বিভেদ তৈরি হচ্ছে মানুষে মানুষে। চিন্ময় এখানে গডসের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। তিনি গান্ধীজির ভাবনার সঙ্গে একদমই সহমত পোষণ করেন না। উল্টে বিরোধিতা করেন। তাই তিনি তবে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। এবং একই সঙ্গে তিনি বিশ্বাস করেন তখন দেশের যা অবস্থা সেটাকে একমাত্র রোখা যাবে হিংসা দিয়েই। হিংসার বদলে হিংসা নীতিতে বিশ্বাস করেন তিনি, তাই হাতে বন্দুক তুলে নেন।
এই ট্রেলারে ধরা পড়ে ইতিহাসের দুই জ্বলন্ত ব্যক্তিত্বের আলাপচারিতা। সেই মিটিংয়ে তাঁরা কী আলোচনা করেন সেটা উঠে আসে। একই সঙ্গে দেখা যায় নাথুরামের হামলার পর গান্ধীজির মৃত্যু হয় না। তার বদলে দেখা যায়, সেই হামলার পর গান্ধীজি বেঁচে থাকলে পরিস্থিতি কেমন হতো। দেখে যায় একদিকে যখন দেশের টালমাটাল অবস্থা তখনও তাঁরা দুজনে নিজেদের ভাবনাকে নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন। সেটা নিয়েই আলোচনা করছেন।
এই ছবির ট্রেলারের একটি দৃশ্যে দেখা যায় কংগ্রেসের মুখ্য নেতা যাঁরা ছিলেন, অর্থাৎ জহরলাল নেহরু, ডক্টর আম্বেদকর, প্রমুখের সঙ্গে দেখা করছেন এবং কংগ্রেস পার্টিটাকে বন্ধ করে দিতে বলছেন। একটা জায়গায় নেহেরুকে বলতে শোনা যায়, ‘একদিনেই গডসে তৈরি হওয়া যায়, কিন্তু গান্ধী হতে গেলে গোটা জীবন লেগে যায়।’
ভক্তরা এই ট্রেলার দেখে বাক্যহারা হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের সকলেরই এই ছবির ট্রেলার ভীষণ ভালো লেগেছে। ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে এই ছবির ট্রেলার। এক ব্যক্তি এই ট্রেলারে কমেন্ট করে নিজের মতামত জানিয়ে লেখেন, ‘গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল। দারুণ ভাবে অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। রাজকুমার সন্তোষী স্যার দারুণ দক্ষতার সঙ্গে কাজটি করেছেন।’ আরেক ব্যক্তি লেখেন, ‘একদম, ইতিহাসই সিদ্ধান্ত নেবে।’
এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে পা রাখছেন রাজকুমার সন্তোষীর মেয়ে তানিশা সন্তোষী। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন মনিলা সন্তোষী। এ আর রহমানের একটি গান আছে এই ছবিতে। ২০১৩ সালে পরিচালকের শেষ ছবি ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’ মুক্তি পেয়েছিল। তারপর দশ বছরের বিরতি নিয়ে তিনি এই ঐতিহাসিক ছবির হাত ধরে ফিরে এলেন।
For all the latest entertainment News Click Here