ইউটিউবারদের হকারের সঙ্গে তুলনা! অঞ্জন দত্ত-কে ‘হকারি’র সঠিক অর্থ শেখালেন ঝিলম
ইউটিউবার ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যাঁরা কনটেন্ট তৈর করেন, তাঁদের নিয়ে সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন অঞ্জন দত্ত। তাঁর নতুন সিনেমা ‘মার্ডার ইন দ্য হিলস’ নিয়ে যেসব সমালোচনা ও মিম বানানো হয়েছে, এটা তারই জবাব বলে মনে করছেন অনেকে। নিজের পোস্টে অঞ্জন দত্ত লেখেন, ‘আজ যদি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম না থাকতো, তাহলে এরা কী করতেন? লোকাল ট্রেনের হকারি? কী করতেন? নিশ্চই করে খেতেন।’ আর এতেই চটেছে ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের একটা অংশ। তবে, এবার প্রকাশ্যে অঞ্জন দত্তের আনা অভিযোগের জবাব দিলেন ইউটিউবার ঝিলাম গুপ্তা। যা ভাইরাল হল নিমেষে।
কী লিখেছিলেন অঞ্জন দত্ত? তিনি লিখেছেন, ‘‘গুচ্ছের বাংলা পোর্টাল এবং ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম হয়েছে ডিজিটালাইজেশন এর দৌলতে। যারা ক্রমাগত ভুল বাংলা এবং খুব খারাপ ইংরিজিতে কথা বলে নানা বিষয় মন্তব্য করে যায়। কারুর ‘শ’ এর দোষ, কারুর উচ্চারণ পরিষ্কার নয়… আমি এটা লিখছি কারণ সেই ভাবে কেউ আমাকে গালমন্দ করেননি। আর করে থাকলেও সেটা আজকের দুনিয়ায় কোনো মূল্য নেই। আমি লিখছি কারণ এই সামগ্রিক, প্রায় সর্বজনীন মিডিওক্রিটি বা মধ্যমেধা নিয়ে যে কোনো সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে। কারণ আমার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ক্রমাগত এই অশিক্ষিত নোটিফিকেশনগুলো আসে।’’
জবাবে ঝিলম প্রথমেই অঞ্জন দত্তকে যে তিনি সম্মান করেন তা জানিয়ে বলেন, ‘দেখুন সবার কনভেন্টে পড়ার সৌভাগ্য থাকে না। আমরা মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়ে। আমাদের ইংরেজিটা হয়তো অত ভালো না। তবে আমাদের চেষ্টা থাকে।’
আর এরপরেই দেন হকার কথা নিয়ে কড়া জবাব। ঝিলম বলেন, ‘আমি যতদূর জানি জার্মান শব্দ হকস্টার থেকে এসেছে হকার কথাটি। হকার কথার অর্থ, যে মানুষ নিজের প্রোডাক্ট সম্পর্কে চিৎকার করে বলে, তা বিক্রি করার চেষ্টা করেন। আমরা সবাই কি হকার নই? আমরা তো প্রতিদিন নিজেদের যোগ্যতা ও স্কিল বিক্রি করে খাই। তাই ক্রিয়েটরদের ছোট করতে গিয়ে হকারদের কথা বলে উনি নিজেকেই ছোট করে ফেললেন।’
সঙ্গে রোজগার ও টিকে থাকর প্রসঙ্গে টেনে ঝিলম বলেন, ‘‘দরকার মনে হয়েছে বলে আপনাকে তো ‘গণেশ টকিজ’-এর মতো ছবি বানাতে হয়েছিল এবং গীতিকার হিসেবে ‘তোমার ঝাল লেগেছে, আমার ভালa লেগেছে’ এই গানটিও লিখতে হয়েছিল।’’
ঝিলামের এই ভিডিও পোস্টের তলায়ও অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন। সকলেই জানিয়েছেন ট্রেনে হকারি করা কোনও খারাপ পেশা নয়, ঠিক যেমন ইউটিউবে কাওকে ট্রোল করা বা সিনেমার সমালোচনা করা। কেননা, সব কিছু করতেই একটা নিজস্ব মেধা লাগে। তাই ‘নিজেকে এলিট’ প্রমাণ করার যে চেষ্ঠা অঞ্জন বারবার করে আসছেন, তা এবার বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত।
For all the latest entertainment News Click Here