ইংল্যান্ডের মুখের উপর জবাব দেওয়ার মুরোদ ছিল না অজিদের, যুদ্ধ জারি রবিনসনের
নিজেদের ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরেছে ইংল্যান্ড। তাদের আক্রমনাত্মক ব্যাজবল পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে তারা যে এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই বাকি ম্যাচ খেলবেন সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ব্রিটিশ শিবিরের জোরে বোলার অলি রবিনসন সম্প্রতি জানান, তাদের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণাত্মক খেলার পদ্ধতি অবাক করেছে।
ইংল্যান্ডের ব্যাজবল পদ্ধতি নিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা প্রশ্ন তুললেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ইংল্যান্ডের বর্তমান দল। এই পদ্ধতি মেনে খেলে তারা সাফল্যও পেয়েছে অনেক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম উইজডেনের একটি কলামে রবিনসন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আমাদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে না খেলায় খুব অবাক হতে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া অনেক রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ম্যাচ খেলেছে। আমাদের সঙ্গে একযোগে খেলতে ওরা চাইনি। যা দেখে আমরা সবাই অবাক হয়েছি। অবশ্যই ওদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম ম্যাচ ভালই ছিল। তবে আমরা মনে করছি ওরা এই মুহূর্তে যেভাবে ব্যাটিং করছে সেই অনুসারে পিচে যদি একটু বল নড়াচড়া করে তাহলে আমরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হব। সবাই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের সতর্কতা এবং পিছনের পায়ের খেলাকে দেখতে পারছে না। আমরা প্রথম দিনের প্রথম ওভারের পরেই বুঝতে পারি ওদের উপর কৃতিত্ব রাখার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের।’
একই সঙ্গে রবিনসন জানান, ইংল্যান্ড দলের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ম্যাচের পরে তাঁর ভাষণে ক্রিকেটারদের জানান ম্যাচটা আমরাই জিতেছি। এই বিষয়ে অলি বলেন, ‘কোচ ম্যাচ খেলে ওঠার পরে বলেন মনে হচ্ছে ম্যাচটা আমরাই জিতেছি। আমরা বিশ্বকে বিনোদোনপূর্ণ খেলা উপহার দিয়েছি। অজি ব্যাটারদের ব্যাকফুটে খেলতে বাধ্য করেছি। ম্যাচ হারার পর তাঁর এই বক্তব্য আমাদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই এটা শুনতে খুব খারাপ লাগছে কারণ ওরা ম্যাচটা জিতেছে। কিন্তু আমি মনে করি ওরা যদি সত্যি নিজেদের বিচার করে তাহলে যেভাবে এই ম্যাচটা খেলেছে তার পরিবর্তন করা দরকার ওদের। যদি লর্ডসের পিচে বল একটু নড়াচড়া করে তাহলে আমরা ব্যাপক সুবিধা পেতে চলেছি পিচ থেকে।’
খোয়াজার ঘটনা সম্পর্কে রবিনসন লিখেছেন, ‘আমি একটা উইকেটের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম। প্রথম ইনিংসে আমি তেমন ভালো বোলিং করিনি। স্পষ্টতই খোয়াজার উইকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের কাছে। ও খুব সুন্দর ব্যাট করেছে।’ এই জোরে বোলার মনে করেন, যদি ইংল্যান্ড ২-০ তে পিছিয়ে যায় তারপরেও সিরিজ তারা জিততে পারবে। তিনি বলেন, ‘এই দলের প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে আমরা যদি সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে পড়ি তারপরেও ৩-২ তে সিরিজ জিতে নেওয়ার ক্ষমতা রাখি। এর পিছনের অন্যতম কারণ আমাদের আক্রমণাত্মক খেলার পদ্ধতি। আমরা আরও শক্ত হয়ে লর্ডসে নামতে চলেছি। ১-০ তে পিছিয়ে থাকার পরে ব্যাপারটা একটু কঠিন। তবে এই বিষয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। একটা বিষয়ে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি পরবর্তী ম্যাচে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামতে চলেছি।’
For all the latest Sports News Click Here