‘আসলাম নামটা পাল্টালেন কেন?’, মুসলিম হয়েও কেন হিন্দুর ভেক! মহেশকে খোঁচা কঙ্গনার
কঙ্গনা রানাওয়াতের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মানেই নতুন বিতর্ক। ফের একবার ‘কুইন’-এর নিশানায় ফিল্মমেকার মহেশ ভাট। ‘সড়ক ২’ পরিচালকের একটি পুরোনো ভিডিয়ো শেয়ার করে কঙ্গনা আক্রমণ শাণালেন মহেশ ভাটকে। কঙ্গনার দাবি মহেশ ভাটের আসল নাম আসলাম। কেন নিজের ‘এত সুন্দর নামটা’ গোপন রেখেছেন তিনি? কঙ্গনা এখানেই থামেননি, তিনি আরও বলেন- ‘যখন ধর্মান্তরিত হয়ে নির্দিষ্ট একটি ধর্মের প্রতিনিধি সেজে থাকটা অন্যায়’।
রবিবার ইস্টাগ্রাম স্টোরিতে মহেশ ভাটের পুরোনো ভিডিয়ো শেয়ার করেন। সঙ্গে মহেশ ভাটের নাম এবং ধর্ম পরিচয় নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন। একটি ক্লিপিংস-এর ক্য়াপশনে কঙ্গনা লেখেন, ‘মহেশজি খুব সাধারণভাবে এবং কব্যিকভাবে উস্কানি দিচ্ছেন’।
অপর এক ভিডিয়োর ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমি শুনেছি ওঁনার আসল নাম হল আসলাম। উনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে (সোনি রাজদান) বিয়ে করতে গিয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। আসলাম খুব সুন্দর নাম, এটা লুকানোর কী আছে?’ উল্লেখ্য, কঙ্গনার ডেবিউ ছবি ‘গ্যাংস্টার’-এর প্রযোজক ছিলেন মহেশ ভাট। তবে গত কয়েক বছর ভাট পরিবারের সঙ্গে কঙ্গনার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। নেপোটিজম ইস্যুতে বারবার কঙ্গনার নিশানায় থেকেছেন মহেশ ভাট তথা ভাট পরিবার।
ভিডিয়ো ক্লিপিং-এ মহেশ ভাটকে বলতে শোনা গেল, ‘মুসলমান ব্যক্তি কোনওদিন ভীত হতে পারে না। কারণ যেখানে আলো থাকে সেখানে অন্ধকার থাকে না।’ পরে ‘হাদিস’-এর প্রসঙ্গে টেনে আনেন মহেশ ভাট। এবং বলেন, ‘হাদিসে বলা হয়েছে অত্যাচিত এবং নীপিড়িতকে সাহায্য করো… এটা নরেন্দ্র মোদীকে শোনানো উচিত, জর্জ বুশকে শোনানো উচিত’।
২০২০ সালে কঙ্গনা রানাওয়াত অভিযোগ এনেছিলেন মহেশ ভাটের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। পূজা ভাট পরিচালিত ‘ধোঁকা’ ছবিতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিতে হবে এমন এক চরিত্র করতে অস্বীকার করায় কঙ্গনার মুখে চপ্পল ছুঁড়ে মেরেছিলেন মহেশ ভাট। গোটা ঘটনা ঘটেছিল কঙ্গনার ছবি ‘ওহ লমহে’-র প্রিভিউ স্ক্রিনিং-এ। নিজের ছবি দেখতে পারেননি কঙ্গনা। কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল তাঁকে।
‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ মুক্তির আগে আলিয়া ভাটকেও পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। বনশালির কাস্টিং-কে ভুল বলে উল্লেখ করেন আলিয়াকে ‘বাবার রাজকন্যে’ বলে উল্লেখ করেন, পাশাপাশি মহেশ ভাটকে ‘মুভি মাফিয়া’ বলে বিদ্রুপ করেছিলেন।
মহেশ ভাট ১৯৬৮ সালে লরেন ব্রাইটকে বিয়ে করেন, বিয়ের পর লরেন নিজের নাম পালটে রাখেন কিরণ। তাঁদের দুই সন্তান পূজা ভাট (১৯৭২) ও রাহুল ভাট (১৯৮২)। সোনি রাজদানকে বিয়ে করলেও কিরণকে ডিভোর্স দেননি মহেশ, বরং তিনি নিজের মায়ের ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করে সোনি রাজদানের সঙ্গে নিকাহ সেরেছিলেন। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান- শাহিন এবং আলিয়া।
For all the latest entertainment News Click Here