আর দেখা মিলবে না গুনগুনের ড্যাডির, অভিষেকের মৃত্যুর সাথেই বড় শূন্য টলিউড
সকাল সকাল এর থেকে খরাপ খবর বোধহয় আর কিছুই হতে পারে না! ‘খড়কুটো’য় গুনগুনের বাবার চরিত্রে যে মানুষটা রোজ আসতেন দর্শকদের ঘরে ঘরে, বুধবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এই খবরে কার্যত শোকের ছায়া সোশ্যাল মিডিয়ায়। একাধিক নেটিজেন শোকপ্রকাশ করেছেন এই খবর শেয়ার করে। গোটা ব্যাপারটাই যেন অবিশ্বাস্য ঠেকছে তাঁদের কাছে।
বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্কুলিং করেন। তরুণ মদুমদারের ‘পথভোলা’ ছবি দিয়ে অভিনয়ের জগতে পা রাখা। অভিনয় করা সন্ধ্যা রায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল, উৎপল দত্তদের সাথে। মৃত্যুকালে তাঁৎ বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৭ বছর।
এক নজরে দেখে নিন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের কেরিয়ারগ্রাফ-
১৯৮৬: পথভোলা ছবি দিয়ে টলিউডে পা রাখা। তাঁর চরিত্রের নাম গুপি।
১৯৮৮-৯০: শুরুটাই এমন হয়েছিল যে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিন বছরে আটটি ছবিতে অভিনয় করেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘অমর প্রেম’, ‘ওরা চারজন’, ‘হারাণের নাতজামাই’, ‘পাপী’, ‘তুফান’-এর মতো সিনেমা।
১৯৯০-২০০০: বাংলা সিনেমায় চুটিয়ে কাজ করেছএন অভিষেক। কোনও কোনও বছরে তিন-চারটি করে সিনেমাও করেছেন। এই দশ বছরে অভিনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি সিনেমায়। যার মধ্যে রয়েছে মায়ের আশীর্বাদ, মেজ বউ, সিঁথির সিঁদুর, বাবা কেন চাকর, চৌধুরী পরিবার, বাড়িওয়ালি-র মতো জনপ্রিয় সিনেমা।
২০০১-২০১১: মুক্তি পায় ‘শ্রীমতি ভয়ঙ্করী’। বেশ সাফল্য পেয়েছিল ছবিখানা সেইসময়। তবে এই সময় ধীরে ধীরে টলিউডে নিজের জায়গা হারাতে থাকেন এই অভিনেতা। একসময় নায়কের চরিত্রে কাজ করলেও পার্শ্ব-চরিত্রের অফার আসতে শুরু করে। একবার এক সাক্ষাৎকারে কীভাবে টলিউড থেকে বের করে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছে তা নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
২০১২: অভিষেক চলে এলেন ছোট পরদায়। তাঁর প্রথম ধারাবাহিক ‘টাপুর টুপুর’ স্টার জলসার সাথে। ওই একই বছর স্টারের আরেক মেগা ‘আঁচল’-এ কাজ করেন তিনি।
২০১৪-১০১৮: নিজের পাকাপোক্ত জয়াগা করে নিলেন ছোট পরদায়। চোখের তারা তুই, ইচ্ছে নদী, অন্দরমহল, কুসুম দোলা, ফাগুন বউ, ময়ূরপঙ্খীর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
২০১৯-২২: মোহর আর খড়কুটো-তে অভিনয় করা শুরু করেন। দুটি ধারাবাহিকেই এক আদর্শবান পিতা, স্বামীর চরিত্রে দর্শকরা ভালোবাসা দিতে থাকে অভিনেতাকে। মারা যাওয়ার আগে অবধি এই দুই ধারাবাহিকে কাজ করে গেলেন।
২০২২, মার্চ: পায়ের শিরায় ব্যথা হচ্ছিল ক’দিন ধরে। তার মধ্যে জিতের নতুন রিয়েলিটি শো ‘ইস্মার্ট জুটি’তেও যাচ্ছিলেন নিয়মিত। কালকেও ছিলেন ফ্লোরে। তবে সেখআনে গিয়ে শরীর আরও খারাপ হয়। চ্যানেলের লোকেরা তাঁরে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে যায়।
২০২২, ২৪ মার্চ: সেট থেকে বাড়ি ফিরে বারবার বমি করতে থাকেন তিনি। পরিস্থিতির অবনতি হলেও হাসপাতালে যেতে চাননি তিনি। তারপর রাত ১টা নাগাদ চলে যান সকলকে ছেড়ে।
For all the latest entertainment News Click Here