আম্পায়র দম্পতি হিসেবে ২২ গজে নজির গড়লেন নাইম-জেসমিন জুটি
শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে দর্শকরা। এর আগে ২২ গজে যে ঘটনা ঘটেনি এবার সেই ঘটনাই ঘটল ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে। স্বামী-স্ত্রী এর আগে একসঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন এর আগেও তবে তা স্বীকৃত বড় মঞ্চে ছিল না। তবে এবার বড় মঞ্চে আম্পায়রিং করার সুযোগ পেলেন নাইম আশরাফ এবং জেসমিন নাইম। ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম আম্পায়র দম্পতি হিসেবে কোনও ম্যাচ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা।
২ জুলাই অর্থাৎ শনিবার র্যাচেল হেইহো ফ্লিন্ট ট্রফি বা বলা ভালো ইংল্যান্ডের মহিলাদের ৫০ ওভারের ঘরোয়া প্রতিযোগিতাতে লাইটনিং ও ওয়েস্টার্ন স্টর্মের ম্যাচে আম্পায়ারিং করে এই নজির গড়লেন আশরাফ ও জেসমিন। উল্লেখ্য বাস্তবে জীবনে তারা আবার স্বামী-স্ত্রী ও বটে।
সম্প্রতি ২৩তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন এই দম্পতি। ফলে বলা ভালো এটার তাদের জন্য এক দারুণ উপহার ও বটে। চলতি মাসে টনটনে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলাদের টেস্টে পাঁচ আম্পায়রের একজন ছিলেন জেসমিন। লাইটনিং ও ওয়েস্টার্ন স্টর্ম ম্যাচকে সামনে রেখে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বোর্ডের সঙ্গে আলাপচারিতায় নাইম দম্পতি তাদের অনুভূতি তুলে ধরেন। জেসমিন জানিয়েছেন তার কাছে এটি বিরাট সম্মানের।
তিনি বলেন ‘আমরা ল্যাঙ্কাশায়ার এবং গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টারের লিগে একসঙ্গে আম্পায়রিং করেছি এবং কেউই বুঝতে পারেনি যে আমরা স্বামী-স্ত্রী। এত বড় মঞ্চে এই সুযোগটি পেয়ে এখন আমরা সম্মানিত বোধ করছি।’ পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৫ সালে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন আশরাফ, এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর খেলেননি তিনি। চোটের কারণে আশরাফের কেরিয়ার আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় পর আম্পায়রিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন নাইম দম্পতি। শনিবারের ম্যাচে মাঠে ছিলেন তাদের তিন ছেলে শাজাইব, উমাইর এবং জাহির। জেসমিন গত বছর প্রথম ব্রিটিশ মুসলিম মহিলা আম্পায়র হিসেবে লর্ডসে আম্পায়রিং ও করেছিলেন।
For all the latest Sports News Click Here