আমি মনে করি, তুমি ১৫,০০০ রানও করতে পারো- সচিনের নজির ভাঙবেন শুভমন, আশায় গাভাসকর
আমদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টের তৃতীয় দিন শুভমান গিলই ছিলেন ভারতের হিরো। তিনি তাঁর দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ার ৪৮০ রানের বিশাল স্কোরের জবাব দেওয়ার মতো ভিত গড়ে দেন। ২৩ বছরের তারকা ওপেনার নাথান লিয়নের বলে আউট হওয়ার আগে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তিনিই দলের হাল ধরে রেখেছিলেন।
শুভমন গিল ২৩৫ বলে ১২৮ রানের ঠাণ্ডা মাথায় একটি ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ১২টি চার এবং একটি ছক্কা রয়েছে। ওপেনিং পার্টনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা এবং পরে বিরাট কোহলিকে সঙ্গী করে দুরন্ত ব্যাট করেন তিনি। এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। পূজারাকে সঙ্গী করে জুটিতে ২৪৮ বলে ১১৩ রান করেন। শুভমন গিল তাঁর নকের শেষের দিকে ক্র্যাম্পিং শুরু করেছিলেন, যার ফলে নাথান লিয়নের বলে ব্যাকফুটে আউট হওয়ার সময়ে তিনি আপাতদৃষ্টিতে একাগ্রতা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
আরও পড়ুন: এটা কেমন শট? জাড্ডুর উইকেট ছুড়ে দেওয়া নিয়ে রেগে লাল গাভাসকর- ভিডিয়ো
এটি ছিল শুভমন গিলের বছরের পঞ্চম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি, যার হাত ধরে ভারতের জন্য সব ফরম্যাটেই এই বছে শরতান করে ফেললেন তিনি। এমন কী নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরিও এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভারতের ব্যাটিং গ্রেট সুনীল গাভাসকর দিনের শেষে ম্যাচের পরে স্টার স্পোর্টসে শুভমন গিলকে বলেছিলেন যে, তিনি আশা করেন, এই তরুণ টেস্ট ক্রিকেটে দুর্দান্ত কিছু করতে পারবেন, এমন কী এই ফর্ম্যাটে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর গাভাসকর উচ্ছ্বসিত হয়ে গিলকে বলেন, ‘আমি আশা করি, তুমি সেঞ্চুরির সংখ্যা অনেক বেশি করবে। পাশাপাশি আশা করি, তুমি ৮,০০০, ১০,০০০, ১২,০০০, এমন কী ১৫,০০০ রান করতে পারবে।’ প্রসঙ্গত সচিন তেন্ডুলকর ২০০ টেস্ট ম্যাচে ১৫,৯২১ রান করে অবসর নিয়েছিলেন। এটি তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে কোনও ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান।
আরও পড়ুন: ভারতে এসে মোট ৫৫ উইকেট, কোর্টনি ওয়ালশদের অনেক পিছনে ফেললেন লিয়ন
তৃতীয় দিনের খেলার শেষে শুভমন গিল বলেন, ‘এখানে সেঞ্চুরি করতে পেরে দারুণ লাগছে। এটা আমার আইপিএল হোম গ্রাউন্ড এবং এখানে আমি কিছু রান পেয়ে বেশ খুশি। ব্যাট করার জন্য পিচ বেশ ভালো ছিল। পিচে যতটা বল ঘুরছে তা পিচের রাফ এলাকার জন্য হচ্ছে। আমি যখনই সম্ভব সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করছি। সত্যি বলতে, আমি সব সময় পজিটিভ হওয়ার চেষ্টা করছিলাম এবং সিঙ্গেল খুঁজছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং অ্যাটাক তেমন আক্রমণ করেনি।’
গিল আরও জানিয়েছেন যে, গত বছর চোট থেকে ফিরে আসার পর তার ব্যাটিং পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছেন তিনি। এবং এখন তাঁর সুফল পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অনুভব করেছি যে, সেট হওয়ার পর আমি অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হয়ে যাচ্ছি। আমি নিজেকে চাপের মধ্যে রাখতাম। তবে সে বিষয়টির পরিবর্তন করতে হবে, ভেবে নিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমাকে যে কোনও চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে এবং আমার খেলাকে আরও উন্মুক্ত রাখতে হবে।’
For all the latest Sports News Click Here