‘আমি না তো কে?’, বাস্তবের অভিজ্ঞতাই এবার পর্দায়, ফাটাফাটি নিয়ে কী বললেন আবির
সবাইকে ফাটাফাটি রাখার মন্ত্র শেখাতে আসছেন আবির চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতাভরী চক্রবর্তী। আগামী ১২ মে তাঁদের ছবি ফাটাফাটি মুক্তি পেতে চলেছে। উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউজের তরফে এই ছবির প্রযোজনা করা হয়েছে। এই ছবিতে উঠে আসবে একজন প্লাস সাইজ মডেলের গল্প। আর সেই প্লাস সাইজ মহিলার স্বামীর চরিত্র থাকবেন আবির।
সমাজের চোখে ‘মোটা’ যে মেয়েটি তাঁর স্বামীর চরিত্রে হঠাৎ অভিনয় করার জন্য রাজি হলেন কেন আবির? এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘কার চেহারা কেমন সেটা নিয়ে জাজ করা মোটেই কাজের কথা নয়। এই ছবিতে এমন এক বিষয় উঠে আসবে যা এখনকার সমাজের জন্য খুবই জরুরি। ছবিটা ভীষণ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। এর চিত্রায়ন খুব সহজ এবং স্বাভাবিক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের সমস্যা আমরা সবাই কম বেশি জীবনে ফেস করে থাকি। আর বাকি রইল বাচস্পতির চরিত্রের কথা। ওর চরিত্রটা বড় সুন্দর। সে তার বউকে সত্যি ভালোবেসে। কোনও দায়িত্বের জন্য নয়, ভালোবেসে ওর হয়ে লড়াই করে। আবার কেউ তাকে অপমান করলেও কষ্ট পায়। অকারণ চরিত্রটাকে ভালো বা মহৎ দেখানো হয়নি। জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি।’
নিজের এই চরিত্রের বিষয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আজ আমি যদি এই চরিত্র না করতাম তাহলে কে করতেন? আমি আর আমার স্ত্রী কম জাজমেন্টাল মন্তব্য সহ্য করেছি? আমি তো বাস্তবেই এই লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গেছি। সেখানে দাঁড়িয়ে আমার এই চরিত্র করা জরুরি বলে মনে হয়েছে।’
আবিরের স্ত্রী নন্দিনীকে যেমন কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তেমনই অভিনেতাকেও বহু বিরূপ মন্তব্য সহ্য করতে হয়। কিন্তু তিনি তার কোনও প্রতিবাদ করেন না কেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার আর নন্দিনীর সম্পর্ক নিয়ে হামেশাই খারাপ মন্তব্য আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোনও ব্যক্তিগত পোস্টের নিচে কটাক্ষ করা হয়। অনেকে আমায় বলে কেন আমি উত্তর দিই না। আমি মনে করি এঁরা উত্তর পাওয়ার যোগ্য নয়। একই সঙ্গে এঁদের সুস্থতা কামনা করি।’
এই ধরনের মন্তব্য কি আবির এর নন্দিনীর ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে? অভিনেতার সাফ উত্তর, ‘না, যত বয়স বেড়েছে আমাদের, আমরা যত অভিজ্ঞ হয়েছি তত আর এগুলো আমাদের প্রভাবিত করতে পারেনি। বরং আমরা অনেক সময় মজা করেছি। সোশ্যাল মিডিয়ার আগেও পারিবারিক স্তরে অনেকের থেকেই এমন মন্তব্য আগেও শুনেছি।’
একটা সময় অভিনেতা নিজেই বেশ ‘মোটা’ হয়েছিলেন, তড়িঘড়ি করে তখন জিমে কেন ভর্তি হলেন তিনি? উত্তরে আবির বলেন, ‘শরীরে মেদ জমলে নানা অসুখ হতে পারে। একটা নির্দিষ্ট ধরনের শরীরের গঠন মানেই সে সুন্দর বাকিরা নন। এমনটা নয়। সৌন্দর্য থাকে মানুষের চোখে। কাউকে তাঁর চেহারার জন্য অপমান করা উচিত নয়।’
For all the latest entertainment News Click Here