আমি ডিকে, হিন্দিতে কথা বল- শাহবাজের ভ্রান্তিবিলাস শুধরে দিয়েছিলেন কার্তিক
কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হওয়াটাই প্লেয়ারদের একমাত্র পরীক্ষা নয়। ম্যাচের সময়ে ক্রিকেটারদের অন্য সমস্যারও মুখোমুখি হতে হয়। তার মধ্যে ভাষা সমস্যা অনেক সময়েই চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যাঁদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়। বা যাঁরা ইংরেজিতে একেবারেই দক্ষ নন।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ ভাষা সমস্যা নিয়ে এমনই এক হাস্যকর ঘটনার কথা বলেছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তাঁর সতীর্থ দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে মজার ঘটনাটি ঘটেছিল।
আইপিএলের আগের সংস্করণের একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন শাহবাজ। তিনি বলেছেন, ‘আমার মাথায় আইপিএলের চাপ চলছিল। আর এটা শুধু আমরা খেলোয়াড়রাই বুঝতে পারি। দু’টি ম্যাচ ছিল, যেখানে আমি শেরফানের (রাদারফোর্ড) সঙ্গে খেলেছিলাম এবং আমরা ইংরেজিতে কথা বলছিলাম (ব্যাটিং করার সময়ে)। আমি যখন শেরফানের সঙ্গে ব্যাট করছিলাম তখন একটা প্রবাহ ছিল। যখন সে আউট হয়ে গেল, এবং ডিকে (দীনেশ কার্তিক) ভাই এসেছিল এবং একই প্রবাহে আমি ইংরেজিতে কিছু বলেছিলাম। ডিকে ভাই হাসছিল আর বলল, আমি ডিকে, আমার সঙ্গে হিন্দিতে কথা বল। চাপের মাঝেও ও শান্ত মাথায় থাকে। তাই আমরা চাপের পরিস্থিতিতেও ওর দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখতে পাই।’
আরও পড়ুন: দল হারলে কী হবে,LSG-এর বিরুদ্ধে ঝোড়ো ইনিংস খেলে T20-তে বড় রেকর্ড গড়লেন কোহলির
বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজকে ২০২২ আইপিএল মেগা নিলামে আরসিবি ২.৪ কোটি টাকায় কিনে নেয়। শাহবাজ নিঃসন্দেহে একজন দুর্দান্ত স্পিনার। শাহবাজ লিগে মোট ৩২ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৩/৭।
এ দিকে, সোমবার শেষ বলের নাটকীয় ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে এক উইকেটে হেরেছে আরসিবি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেন দুই ওপেনার- বিরাট কোহলি এবং ফ্যাফ ডু’প্লেসি। ৪৪ বলে ৬১ রান করেন কোহলি। পরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৯ বলে ৫৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। আর আরসিবি অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করে ব্যাঙ্গালোর।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার পরেও বলে লালার ব্যবহার করে বিতর্কে অমিত,এর ২ বল পরেই আউট করেন কোহলিকে
২১৩ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে নাটকের পর ১ উইকেটে জয় ছিনিয়ে লখনউ। শুরুতে মাত্র ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান রাহুলরা। তাও জয় এল মার্কাস স্টোইনিস এবং নিকোলাস পুরানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে। স্টোইনিস ৩০ বলে ৬৫ করে জয়ের ভিত তৈরি করেন। এর পর মূলত দলের জয়ের রাস্তা মসৃণ করেন নিকোলাস পুরান। ১৫ বলে করেন হাফসেঞ্চুরি। তাঁর করা ১৯ বলে ৬২ রান লখনউয়ের কাছে অক্সিজেন হয়ে যায়। এ ছাড়া সাতে নেমে আয়ুশ বাদোনি পুরানকে যোগ্য সঙ্গত করেন। কিন্তু ২৪ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে তিনিও ১৯তম ওভারে হিট উইকেট হয়ে আউট হন। কিন্তু তার পরে শেষ ওভারে আরও ২ উইকেট তুলে নেয় হার্ষাল। টানটান উত্তেজনার ম্যাচ শেষ বল পর্যন্ত গড়ায় ম্যাচ। আর শেষ বলে ১ রান নিয়ে আবেশ খান দলের জয় নিশ্চিত করেন।
For all the latest Sports News Click Here