আমি খারাপ কিছুই বলিনি- নিজের দোষ ঢাকতে BCCI- কে লম্বা চিঠি কোহলির- রিপোর্ট
১মে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীর। একজন তারকা প্লেয়ার। অন্যজন দলের মেন্টর। তাঁদের দু’জনের মধ্যে ঝামেলাই ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলার আগে থেকেই কোহলি ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন কখনও নবীন-উল-হক, কখনও অমিত মিশ্রর সঙ্গে। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে ঝামেলা শুরুর আগেই গম্ভীর তাঁকে টেনে নিয়ে যান। এটা ঘটনা যে, কোহলির নিঃসন্দেহে দোষ ছিল।
লখনউয়ের একনা স্টেডিয়ামে সেই জঘন্য ঘটনা ঘটার পর থেকে অনেক কিছু লেখা হয়েছে। অনেক আলোচনা হয়েছে। এবং রিপোর্ট করা হয়েছে। আরও নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে।
নবীন-উল-হক এবং গম্ভীরের সঙ্গে কোহলির মাঠের ঝগড়ার প্রায় পাঁচ দিন পরে আরও একটি নতুন তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বিসিসিআই-এর কয়েক জন কর্মকর্তাকে চিঠি লিখেছিলেন। দৈনিক জাগরণের রিপোর্ট অনুসারে, কোহলিকে ম্যাচ ফি-র ১০০% জরিমানা করার পরে বিসিসিআই কর্মকর্তাদের কাছে তিনি হতাশাও প্রকাশ করেছেন। কোহলি জানিয়েছেন যে, লড়াইয়ের সময় তিনি নবীন-উল-হক বা গম্ভীরকে এমন কিছু বলেননি, যার জন্য বিসিসিআই তাঁকে এ রকম শাস্তি দেবে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে রাতের রাস্তায় হেনস্থার শিকার KKR অধিনায়কের স্ত্রী, চাপে পড়ে ব্যবস্থা নিল পুলিশ, গ্রেফতার এক
শুধু কোহলি নয়, গম্ভীরকেও ম্যাচ ফি-র একশো শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। কারণ ম্যাচ রেফারি এবং মাঠের আম্পায়াররা তাঁদের অপরাধকে লেভেল-টু হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এবং আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী আর্টিকেল ২.২১ লঙ্ঘনের জন্য তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কোহলি অবশ্য মনে করেন না, তাঁর আচরণের জন্য এত বড় জরিমানা হতে পারে বলে। কোহলিকে প্রায় ১.২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে হতে পারে। তবে ম্যাচ ফি-র টাকা কোহলি জরিমানা হিসেবে দিতে পারবেন না। কারণ আরসিবি-তে নিয়ম রয়েছে, মাঠের কোনও অপরাধের জন্য আরসিবি তাদের খেলোয়াড়দের বেতন থেকে ম্যাচ ফি কেটে নেয় না।
আরও পড়ুন: RR-কে হারিয়ে লিগ টেবলে শীর্ষ স্থান মজবুত করল GT, সঞ্জুরা থাকল চারেই, বাকিদের হাল কী?
মৌখিক ঝগড়ার প্রত্যক্ষদর্শী খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মতে, নবীন-উল-হক এবং কাইল মেয়ার্সের প্রতি কোহলির আচরণের খারাপ ছিল। অমিত মিশ্র, যিনি এলএসজি-র রান তাড়া করার সময়ে নবীনের সঙ্গে ব্যাটিং করছিলেন, তিনিও কোহলির আচরণ সম্পর্কে আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, আরসিবি-র পেসার মহম্মদ সিরাজের বাউন্সার এবং নবীন-উল-হকের দিকে থ্রো-তে আফগানিস্তান পেসার খেপে গিয়েছিলেন। কোহলি বিসিসিআই কর্মকর্তাদের কাছে তার বার্তায় বলেছেন যে, তিনি কোনও ভাবেই নবীনকে আঘাত করার জন্য সিরাজকে নির্দেশ দেননি। বরং তাঁকে শুধু বাউন্সার বোলিং করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ম্যাচের পরে নবীন-উল-হক যে আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে কোহলির হ্যান্ডশেককে একপাশে সরিয়ে দিয়ে তাঁকে প্রায় দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন, তা আবার বিরাট ভক্তদের একেবারেই ভালো লাগেনি। কোহলি ম্যাচের পরে তার আক্রমণাত্মক আচরণের জন্য নবীনের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নবীনকেও ম্যাচ ফি-র ৫০% জরিমানা করা হয়েছে।
For all the latest Sports News Click Here