আমি এখন আর CWG-র সোনা নিয়ে ভাবছি না- নিজের আসল লক্ষ্য ফাঁস করলেন অচিন্ত্য

কমনওয়েলথ গেমস এখন তাঁর কাছে অতীত। পাখির চোখ এখন অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করা। তবে সেই লক্ষ্যজয়ের প্রস্তুতি শুরুর সময়টুকুও পাচ্ছেন না বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী হাওড়ার ছেলে অচিন্ত্য শিউলি। এমন কী বাড়ির লোকের সঙ্গেও এক মুহূর্ত সময় কাটাতে পারছেন না। ফোনের পর ফোন, সংবর্ধনার শেষ নেই। পুরো জীবনটাই হঠাৎ করে বদলে গিয়েছে অচিন্ত্যর।

তবে এত সবের মাঝেও অচিন্ত্য ডুবে নতুন স্বপ্ন। অলিম্পিক্সের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন হাওড়ার সোনার ছেলে। মঙ্গলবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এসে অচিন্ত্য বলছিলেন, ‘সবাই কী ভাবছে সেটা নিয়ে মাথা ঘামালে চলবে না। আমি কী চাই, সেটাই আসল। আমি এখন সোনা জেতা নিয়ে ভাবছিই না। আপাতত আমার একমাত্র লক্ষ্য অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করা।’ মীরাবাই চানু তাঁর আইডল। বার্মিংহ্যামে তাঁর প্র্যাকটিস পার্টনার ছিলেন তারকা ভারোত্তোলক। তাঁর থেকেও পেয়েছেন টিপস। সোনা জয়ের পর তাঁকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন চানু।

আরও পড়ুন: বাবা ভ্যান চালাতেন, সংসার চলত ৫০০টাকায়, লড়াই করে সোনা জয়, তবু খুশি নন অচিন্ত্য

মঙ্গলবার ‘খেলা হবে’ দিবসে অচিন্ত্য শিউলির হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার পুরস্কার তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দেওয়া হয় উত্তরীয় এবং রসগোল্লার হাড়িও। কমনওয়েলথে স্কোয়াশে ব্রোঞ্জ জয়ী সৌরভ ঘোষাল শহরে না থাকায়, তাঁর বদলে এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তাঁর বাবা রাজেন্দ্র নাথ ঘোষাল। তাঁর হাতে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং মহমেডানের সহ সভাপতি কামারুদ্দিন।

আরও পড়ুন: অচিন্ত্যর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলা সহ গোটা দেশ,মমতা থেকে মোদীর শুভেচ্ছা

ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সেই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুই বঙ্গসন্তানকে আমরা সংবর্ধিত করলাম। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী। সফল ক্রীড়াবিদদের আমরা বরাবরই স্বীকৃতি দিই। ক্রীড়াক্ষেত্রে আমরা বাংলাকে এক নম্বর স্থানে দেখতে চাই। আমরা চাই দু’বছর পর অলিম্পিক্সে অচিন্ত্য সোনা জিতুক। ওর জন্য সব রকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। আমরা চাই বাংলার মুখ উজ্জ্বল হোক।’

সোনা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে অচিন্ত্য নাকি বার্মিংহ্যামে পাড়ি দেননি। তাঁর টার্গেট ছিল নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার। সেই লক্ষ্যে তিনি সফল। অচিন্ত্য বলছিলেন, ‘আমি সোনা জেতার লক্ষ্য নিয়ে কমনওয়েলথে যাইনি, নিজের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল। প্রথম লিফটের পর মনে হয়েছিল পদক জিততে পারি। সোনা জেতার পর অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। জীবনে অনেক কিছু নতুন হচ্ছে। ভালোই লাগছে। সময়টা উপভোগ করছি।’ ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। তার পর থেকে মা এবং দাদার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগ আজ তাঁকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতার মুহূর্তে সবার প্রথমে অচিন্ত্যর মনে পড়েছিল দাদা এবং কোচকে। এবং তাঁর পদক তিনি দাদা এবং কোচকেই উৎসর্গ করেছেন।

অচিন্ত্য আপাতত বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে চান। সেই সঙ্গে কিছুটা প্রস্তুতিও শুরু করে দিতে চাইছেন। কমনওয়েলথের তবে ২১ অগস্ট থেকে পাতিয়ালায় শুরু হয়ে যাবে শিবির। তাই ১৯ অগস্ট পাতিয়ালা রওনা হবেন অচিন্ত্য।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.