‘আমি অবিক্রিত ছিলাম, GT আর হার্দিক ভরসা রেখেছিল,’ প্রমাণ করে উচ্ছ্বসিত ঋদ্ধি

গত দেড় বছর ধরে ভয়ঙ্কর লড়াই চালাচ্ছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ভারতের প্রথম পছন্দের টেস্ট উইকেটরক্ষক ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ঋষভ পন্তের কাছে তাঁর জায়গা হারিয়েছিলেন। এবং এই বছরের শুরুতে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা সামনের দিকে তাকাতে চায় এবং তাঁকে নিয়ে কিছু ভাবা হচ্ছে না।

ঘরোয়া মরশুমে বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একজন কর্মকর্তা তাঁর সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই সময়েই তিনি আইপিএলের মেগা নিলামের প্রথম দিন অবিক্রিত থেকে যান। যখন ঋদ্ধির দেওয়ালে একেবারে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল, সেই সময়ে নিলামের দ্বিতীয় দিন গুজরাট টাইটানস ১.৯ কোটিতে তাঁকে কিনে নেয়।

এর পরেও যে ঋদ্ধিমান সাহার লড়াইয়ের ইতি হয়েছিল, তা নয়। তিনি টাইটানসের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক ছিলেন না। প্রথম কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু ওয়েড। কিন্তু বাঁ-হাতি প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হওয়ায়, তখন টাইটানস অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া সিদ্ধান্ত নেন, শুভমান গিলের সঙ্গে ঋদ্ধিকে ওপেন করানোর।তে বলেন।

ঠিক এই সুযোগটারই অপেক্ষা করছিলেন ঋদ্ধি। লিগের প্রথম পাঁচটি লিগ ম্যাচ মিস করার পর ঋদ্ধি টাইটানসের হয়ে ১১টি ম্যাচে ৩১৭ রান করেন। যার মধ্যে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। আইপিএলে অভিষেক হওয়ার পরেই টাইটানসের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ঋদ্ধিরও। আর তাঁর সাফল্যের জন্য ঋদ্ধি পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন পাণ্ডিয়াকে। তাঁর দাবি, আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হার্দিকের অবদানকে কখনও-ই তিনি ভুলতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: ‘আগামীতেও বাংলার হয়ে খেলব না, বলিনি’, শহরে ফিরে অন্য সুর ঋদ্ধির, অভিমান কমল তবে?

ঋদ্ধি বলেছেন, ‘হার্দিক সেই সমস্ত খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা দেখিয়েছিল, যাদের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। যাদের কেউ বিশ্বাস করেনি। আমি অবিক্রিত ছিলাম (মেগা নিলামের প্রথম দিন), এবং শুরুতে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তার পর ও এসে বলল আমাকে দরকার। ওপেনার হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি আমার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। ও আমাকে নিজেকে প্রমাণ করার একটি মঞ্চ দিয়েছে। ওর অবদান কখনও-ই ভুলতে পারব না। আমি তার বিশ্বাসের প্রতিদান দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আসলে দলের প্রত্যেকেই তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, এটাই দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে দরকার।’

৩৭ বছরের তারকা কিপার পরিষ্কার বলেছেন, হার্দিকের মধ্যে তিনি একটি বড় পরিবর্তন দেখেছেন। হার্দিকের নেতৃত্বের দক্ষতা সম্পর্কেও তিনি প্রশংসা করেছেন। ঋদ্ধি দাবি করেছেন, হার্দিক যত্ন সহকারে সকলকে নিয়ে লড়াই করেছেন। মাঠে কেউ ভুল করলেও, তিনি কখনও-ই মেজাজ হারাতেন না।

ঋদ্ধি যোগ করেছেন, ‘হার্দিক জানেন কী ভাবে একটি দল পরিচালনা করতে হয়। একজন অধিনায়কের কাজ হল, সকলকে নিয়ে চলা। তাঁর বিশাল বড় পরিবর্তন হয়েছে। ও আগে অস্থির থাকত কিন্তু এখন পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। ও কখনও-ই মাঠে ওর মেজাজ হারায়নি। সব সময়ে সবার প্রতি ও বিশ্বাস দেখিয়েছে।’

ঋদ্ধি বলেছেন, ‘একজন অধিনায়ক সব সময় খুশি থাকে, যখন ওপেনাররা পারফর্ম করবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, ও আমাকে বিশ্বাস করেছিল। হার্দিক বলত, আমরা যদি একাধিক ম্যাচে ভালো শুরু না করি, তবে তা অনেকটাই ডাগ আউটের নীচে ফেলে দেবে। তাই, আমার কাজ ছিল, শুরু ভালো করা।’

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.