‘আমার ৩৪, মীরার ২০! বেশ অপ্রস্তুত লাগছিল’, কোন বিশেষ মুহূর্তে এই বোধ হয় শাহিদের?
শাহিদ কাপুর আর মীরা রাজপুতের জুটি যেন রব নে বনা দি জোড়ি। তবে এই সম্পর্কের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে বরাবরই উঠে এসেছে তাঁদের মধ্যেকার বয়সের ফারাক। বিয়ের কথা যখন চলে শাহিদ আর মীরা, য়খন অভিনেতার বয়স ৩৪। আর মীরা মাত্র ২০ কিছুটা ‘অপ্রস্তুত’ বোধ হচ্ছিল তাঁর। কারণ এত ছোট একটি মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন। তবে মীরার সঙ্গে কথা বলার পড়েই সেই জড়তা কাটে। শাহিদের কথায়, ‘খুব শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব ওর। সঙ্গে ভীষণ ম্যাচিওরিটি সেটা প্রথম দিনই বুঝে গিয়েছিলাম। আমি যে অভিনেতা সেটা নিয়ে ওর মধ্যে সেরকম কোনও হেলদোলই ছিল না।’
২০১৫ সালেই দিল্লির মেয়ে মীরাকে বিয়ে করেন শাহিদ। বিয়ের পরপরই দুই সন্তানের জন্ম দেন মীরা। বিয়ের বছরেই জন্ম নেয় তাঁদের কন্যা মিশা। তারপর জন্ম নেয় পুত্র জৈন। দুই সন্তানের ছবি হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। থাকে শাহিদের সঙ্গে কাটানো একান্ত মুহূর্তও। এসবের মাঝেও নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে রাখেন লাইমলাইট থেকে দূরে। তাই তো দিনকয়েক আগে রাস্তায় পাপারাৎজিরা ছবির জন্য ঘিরে ধরলে মীরা বলে উঠেছিলেন, তাঁকে জলদি বাড়ি ফিরতে হবে। সকালে দুই সন্তানের স্কুল রয়েছে।
করিনা কাপুর খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিদ্যা বালন, অনুষ্কা শর্মাদের সঙ্গে প্রেম হলেও একটা সম্পর্কও টেকেনি করণের। শেষমেশ কেন ইন্ডাস্ট্রির বাইরের একটি সাধারণ পরিবারের মেয়েকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন সে প্রসঙ্গে শাহিদ ‘কফি উইথ করণ’-এ জানিয়েছিলেন, ‘আমার দু’টি দিক আছে। আমার ঝাঁ চকচকে অভিনেতা সত্তাটা সকলে দেখতে পান। কিন্তু আমার একটি ঘরোয়া এবং আধ্যাত্মিক দিকও রয়েছে। আমি একজন নিরামিষাশী। মদ্যপান করি না। এমন কাউকে পাইনি যে আমার এই দিকটা বুঝবে। আমার বয়স তখন ৩৪। সংসার পাতার পরিকল্পনা করছিলাম কারণ ১০ বছর ধরে আমি একা ছিলাম।’
প্রসঙ্গত, পরিবার সূত্রে শাহিদের সঙ্গে মীরার আলাপ। শাহিদ এবং মীরা, দুজনের পরিবারই দিল্লির একই আশ্রমের সদস্য। সেই আলাপ থেকে ভালো লাগা। ভালো লাগা থেকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here