‘আমার জীবন নিয়ে যারা খেলতে চায়, তাদের সঙ্গে খেলতে আমিও তৈরি’, সোজাসাপটা পরীমনি
মাদককাণ্ডে প্রায় এক মাস জেলবন্দি ছিলেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সবচেয়ে চর্চিত নায়িকা পরীমনি। আপতত জামিনে মুক্ত অভিনেত্রী। পরীমনিকে নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই থামবার নাম নিচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একের পর এক বার্তা দিয়ে চলেছেন নায়িকা। বুধবার মাদককাণ্ডে ঢাকার আদালতে হাজিরা দেন অভিনেত্রী। সেখানেও একের পর এক বোমা ফাটান নায়িকা।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পরীমনি বলেন, ‘যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাটতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে প্রস্তুত’। এদিন ফের একবার মেহেন্দিতে বিস্ফোরক বার্তা দিলেন নায়িকা। তাঁর হাতে লেখা ছিল ‘F*** Me More’। যা নিয়ে ফের বিতর্ক। যদিও অশ্লীল শব্দের জায়গায় ‘মধ্যমা’র ছবি ব্যবহার করেছিলেন বাংলাদেশের নায়িকা।
পরীমনি নিজে হাতে লেখা বার্তাটি ব্যাখাও করেন। তিনি বলেন, ‘আমার কষ্ট লাগছে এখন। অনেকেই আমার বার্তাটি ঠিক বুঝতে পারছেন না, ভুল বুঝছেন। সবাই ভাবছেন আমি লিখেছি ‘লাভ মি মোর’। আসলে তো আমি লিখেছি ‘F*** Me More’।
গত ৪ঠা অগস্ট পরীমনির ঢাকার বনানীর বাসভবনে অভিযান চালায় র্যাব। জানানো হয়, তাঁর বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে। প্রথমে অভিনেত্রীকে আটক করে তাঁর বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পরবর্তী সময় গ্রেফতার হন পরীমনি।
এর পর তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমনিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চার দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট দুদিন এবং তৃতীয় দফায় ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় পরীমনির। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড বাড়ানো হতে থাকলে জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন নায়িকা। সেখানেও শুনানির তারিখ দেরিতে নির্ধারণ করায় হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট সে ব্যাপারে নিম্ন আদালতের কাছে জবাব চাইতেই শুনানির তারিখ তড়িঘড়ি এগিয়ে এনে ৩১ আগস্ট জামিন মঞ্জুর হয় পরীমনির। পরদিনই পরীমনি কারামুক্ত হন।
বুধবার আদালতে পরীমনি আবেদন জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা কাগজ, ফোন, আইপ্যাড ও গাড়ি যেন তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। নায়িকার দাবি, গাড়ি না থাকায় তিনি সমস্যায় পড়েছেন। সঙ্গে জানান, গাড়ির সব কাগজ তাঁর গাড়ির মধ্যেই রাখা ছিল। সব কাগজপত্র গাড়ির ভিতরেই ছিল বলে জানান পরীমনি, তাই আদালতে এই মুহূর্তে মালিকানার প্রমাণ দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও সরকারি পক্ষের তরফে পরীমনির দাবির বিরোধিতা করে বলা হয়, ওই বিলাসবহুল গাড়ির নির্দিষ্ট কাগজপত্র নেই। ওতো দামী গাড়ি কোথা থেকে,কীভাবে এল, তা তদন্তসাপেক্ষ। উভয়পক্ষের দাবি শুনে, বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে আদালতকে নথি জমা দিতে বলেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১০ই অক্টোবর।
For all the latest entertainment News Click Here