‘আমার অর্ধেক কথা বোঝা যায় বলে লোক অর্ধেক সিনেমা দেখে’, নিজেকে নিয়েই মস্করা দেবের
৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে দেব ও প্রসেনজিতের ‘কাছের মানুষ’। ছবির প্রচারের জন্য অভিনব পন্থা নিয়েছে গোটা টিম। স্ট্যান্ড আপ কমেডি করছে সিনেমার তারকারা। প্রথমে ভিডিয়ো এসেছিল প্রসেনজিতের, নিজের তিনটে বিয়ে নিয়েই মস্করা করেছিলেন ‘মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি’। এবার নিজেকে নিয়ে মস্করার পথে হাঁটলেন দেবও। এমনকী, নিজের উচ্চারণের সমস্যা নিয়েও করলেন নিজেরই ট্রোলিং।
দেব জানালেন তিনি কখনও না বলতে পারেন না। প্রসেনজিৎকে ঠুকে বলেন, এই যে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, তুমি তো চিনবে বুম্বাদা, তোমার খুব কাছের মানুষ, ফোন করে বলল তোর জন্য একটা স্ক্রিপ্ট লিখেছি, কিন্তু ডায়লগ নেই। না করতে পারলাম না। দিদি যখন ফোন করে বলল, দেব তোমাকে এমপি হতে হবে। আমি….
নিজের উচ্চারণ নিয়েও ট্রোল করলেন। বারবার প্রশ্ন করতে থাকেন, ‘আমার কথা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না তো?’ তারপর নিজেই বলেন, ‘জানো বুম্বাদা আমাকে নিয়ে একটা সার্ভে করা হয়েছিল, তাতে বলা হয় আমার কথা অর্ধেক কথা বোঝা যায় বলে লোকে অর্ধেক সিনেমা দেখে হল থেকে বেরিয়ে আসে। এত পরিশ্রম করার পর এত কিছু শুনতে হয়, তখন কষ্ট হয়। তবে এখন মেনে নিয়েছি। যে যত সফল তাকে নিয়ে তত ট্রোল হবেই।’
এরপর দেব বলতে শুরু করেন, আমি কিন্তু কখনও নিজের প্রচারও নিজে করি না। ‘এই যে ধরুন আমি ১৭ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছি, বলেছি কাউকে। বাংলার বক্স অফিসে সবচেয়ে বড় হিট অ্যামাজন.., বলেছি কাউকে? প্রযোজক হিসেবে একটার পর একটা হিট দিয়েছি, বলেছি কাউকে? একটা সাক্ষাৎকার দেখিয়ে দাও। বহুবছর মন দিয়ে কাজ করলে না, যে কেউ করতে পারবে। জিৎ, সবাই হয়। কিন্তু দেব একটাই… কোথায় বলেছি একথা দেখিয়ে দাও! আমি আজই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব।’ মানে জিৎকে নিয়ে তাঁকে যে ট্রোল করা হয়, সেটাকেও টেনে আনেন।
আর সবশেষে টেনে আনেন বঙ্গসম্মান নিয়ে তাঁকে যে ট্রোলের মুখে পড়তে হয় তা। বলেন, ‘আগে ছিলাম মহানায়ক, এখন বঙ্গভূষণ…’
গত বছর ‘মহালয়া’য় এই ছবির আনুষ্ঠিক ঘোষণা সেরেছিলেন দেব। তারপর থেকেই ছবি ঘিরে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। পুজোর বক্স অফিসে টলিউডের দুই সুপারস্টারকে একসঙ্গে পর্দায় দেখতে আগ্রহী দর্শক। এর আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘জুলফিকার’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। দেবের বিপরীতে রয়েছেন ইশা সাহা। অভিনব কায়দায় চলছে ছবির প্রচার।
For all the latest entertainment News Click Here