‘আমরা বিরক্ত হচ্ছি’, বিয়ে নিয়ে প্রকাশিত কোন খবরে আপত্তি শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর?

শ্রুতি দাস আর স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার চুপিচুপিই বিয়ে করে ফেলেন ৯ জুলাই। আর গত রবিবারই মধ্যরাতে ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন বোমা ফাটান ‘রাঙা বউ’ অভিনেত্রী। ওয়েডিং কেকের ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘মিস থেকে মিসেস হলাম’। আর তারপর থেকেই চর্চায় আছেন টিভির এই দুই পরিচিত মুখ। যাদের মধ্যে একজনকে দর্শক অনবরত দেখছেন ক্যামেরার সামনেষ আরেকজন নিষ্ঠাভরে কাজ করে চলেছেন ক্যামেরার পিছনে। তাই দুজনকে নিয়েই এখন চলছে জোর চর্চা। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের উপর এই হঠাৎ গোসা হওয়ার কারণ কী?

শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দুর প্রেমটা চার বছরের। জি বাংলার ‘ত্রিনয়নী’র সেটেই প্রথম দেখা। শ্রুতিই প্রেমের প্রস্তাব রেখেছিলেন স্বর্ণেন্দুর কাছে। প্রথমদিকে আপত্তি থাকলেও, সিরিয়ালের হিরোইনকে একসময় ভালোবেসে ফেললেন পরিচালক। তবে সেই সম্পর্কের খবর বাইরে আসতেই শুরু হল নিন্দে-সমালোচনা। অনেকেই ট্রোল করতে থাকলেন দুজনের সম্পর্কে থাকা বয়সের ফারাক নিয়ে। যা ১৪ বছরের। কারও দাবি, শুধু কাজ পাওয়ার জন্য ‘বুড়ো পরিচালক’-এর সঙ্গে ‘প্রেমের নাটক’ শ্রুতির।

সে যাই হোক, দেখতে দেখতে বিয়ের ১ সপ্তাহ পার। শনিবারই গিয়েছেন হানিমুনে। কোথায় একান্তে সময় কাটাচ্ছেন তা গোপনই রেখেছেন। যদিও প্রথমবার ফ্লাইটে চড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করতে ভোলেননি শ্রুতি। বর স্বর্ণেন্দুর কাছ থেকে সারপ্রাইজ গিফট হিসেবে পাওয়া পেনডেন্ট আর চেইনের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। সঙ্গে থাকা লাভ লেটারটাও। আর তারপর বিয়ের ১ সপ্তাহে দিলেন যৌথ বিবৃতি। যেখানে পরিবার থেকে শুরু করে সমস্ত অনুরাগী, সকলকে জানালেন ধন্যবাদ।

শ্রুতি লিখলেন, ‘এক সপ্তাহ পূর্ণ হলো আমার এক স্বপ্নপূরণের। এখনও শুভেচ্ছাবার্তার বন্যায় ভাসছি আমরা দুজন। সকলকে আলাদা ভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়নি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। গত শনিবার এবং সোমবার দুদিনই শ্যুটিং এর মধ্যেই কাটিয়েছি।শনিবার বুঝতে পারিনি কিকরে সব ঠিকমতো মিটবে আর সোমবার ভেবেছি সব কিকরে এতো নিখুঁত ভাবে হলো।’

‘হয়তো এটাই ভগবানের ইচ্ছা ছিলো, মা বাবার আর আপনাদের আশীর্বাদের জোর ছিলো। এই কেকটা গত সোমবার আমাদের রাঙাবউ-এর সহকর্মীদের আনানো এবং সকলকে না জানিয়ে এতো বড়ো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও বিন্দুমাত্র রাগ-অভিমান পুষে না রেখে এতো আন্তরিক শুভেচ্ছা হয়তো ভালোবাসার মানুষরাই দিতে পারেন। আমাদের সকল অনুরাগী,বন্ধুবান্ধব, গুরুজন, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মীদের আমাদের দুজনের তরফ থেকে বুক ভরা ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানাই’, আরও লেখেন শ্রুতি।

এরপরই যেন কথায় এল সামান্য ক্ষোভ। প্রথমে ছোট পর্দার ‘রাঙা বউ’ লিখলেন- ‘‘শুধুমাত্র আমাদের মন থেকে ভালোবাসার মানুষজন’ প্রার্থনা করবেন যেন আমরা সুখী হই।’’ সঙ্গে মিডিয়ার উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘পারলে ‘চোদ্দ বছরের বড়ো’ ট্যাগ লাইন টা বন্ধ করুন মিডিয়া পার্সনরা। চার বছর ধরে শুনছি তো আসলে এবার আমরা বিরক্ত হচ্ছি আর কি।’’

শ্রুতির বিয়ের মতো চর্চায় এসেছে তাঁর লাল পাইপিং দেওয়া সাদা জামদানি ওয়ার্কের শাড়িটিও। সাদা পরে বিয়ে ভাবতে পারেন না অনেকেই। সঙ্গে সোনার বদলে রুপোর গয়না পরেছিলেন তিনি। প্রথা ভেঙেছেন পোশাকেও। সামাজিক বিয়েটা এখনও বাকি। আইনি বিয়ে হলেও, এখনই একসঙ্গে থাকবেন না শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দু। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন, হয়তো ২০২৫ সাল নাগাদ হবে সামাজিক বিয়ে সব রকমের নিয়ম মেনে। যেটা নিয়ে এখনই কেউ খুব বেশি কথা বলতে চান না। সেটাও সারপ্রাইজ হিসেবেই দিতে চান সকলকে।

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.