‘আমরা এক থালায় ভাত খেয়ে বড় হয়েছি’, মুসলিম বেস্টিকে নিয়ে অকপট দিতিপ্রিয়া
এই মুহূর্তে টলিউডের হার্টথ্রব নায়িকা দিতিপ্রিয়া রায়। ছোটপর্দার ‘রানিমা’ এখন চুটিয়ে কাজ করছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও বড়পর্দায়। খুব অল্প বয়সেই অভিনয়ের জগতে সফল্য এসেছে, তবে ইন্ডাস্ট্রি নয় স্কুলের বন্ধুদের নিজেই দিতিপ্রিয়ার দুনিয়া। রবিবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ ডে। আর এই বিশেষ দিনে নিজের কাছের বন্ধুদের নিয়ে মনের ঝাঁপি খুলেছেন বাংলা টেলিভিশনের ‘রাণী রাসমণি’।
আপতত কলেজ স্টুটেন্ড দিতিপ্রিয়া, পাঠভবন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তাঁর কাছে বন্ধু মানে স্কুলের ৮ জনের গ্রুপ, যার মধ্যে থেকে দুইজন দিতিপ্রিয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড। তাঁর কথায়, ‘আমি হাঁ করলে ওরা হাওড়া বুঝে যায়’। দিতিপ্রিয়ার সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আপন দুই বান্ধবী হল সারণী ঘোষ এবং ওয়াহিদা শবনম। বন্ধু দিবসে দিতিপ্রিয়া বললেন, ‘আমাদের মধ্যে টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ আছে। কারুর কিছু হলে অন্যজন ঠিক বুঝে যায়। ওদের পেয়ে আমি লাকি।’
এদিন দিতিপ্রিয়া স্পষ্ট করে বলেন, বন্ধুত্বের সম্পর্কটা জাতপাত, ধর্মীয় ভেদাভেদের অনেক ঊর্ধ্বে। দিতিপ্রিয়ার এক বেস্টি কিন্তু মুসলিম। দিতিপ্রিয়া বলেন, ‘অনেককেই ধর্ম নিয়ে খুঁতখুঁতে হতে দেখেছি। বৈষম্য তৈরি করতে শুরু করে দেন তাঁরা। এগুলো কিন্তু আমার আর ওয়াহিদার মধ্যে কোনওদিনও আসেনি।’
দিতিপ্রিয়া আরও যোগ করেন, ‘আমরা এক থালায় খেয়ে বড় হয়েছি…আমাদের দু’জনের পরিবারও এই নিয়ে কোনও আপত্তি জানায়নি। কিছুদিন আগেই আমাকে একজন জিজ্ঞেস করলেন, এই যে তোদের ধর্ম আলাদা, তাতে অসুবিধে হয় না?’ এই মানসিকতা অবাক করে দিতিপ্রিয়াকে। কারণ ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান’ পড়ে বড়ো হওয়া দিতিপ্রিয়াকে এই ধর্মীয় ভেদাভেদ কষ্ট দেয়। দুর্গাপুজোর আগে ওয়াহিদা নতুন জামা কেনবার জন্য যেমন লাফায়, তেমনই ঈদের আনন্দ বন্ধুর সঙ্গে ভাগ করে নেন দিতিপ্রিয়াও।
For all the latest entertainment News Click Here