‘আমরাও মানুষ’, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেঁদে-ককিয়ে জয়ের পর বললেন কেএল রাহুল
জয়টা যে সহজে আসবে না, তা আগে থেকেই জানতেন। মীরপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে প্রতিটি রানের জন্য যে লড়াই করতে হবে, সেটাও জানা ছিল। এমনই দাবি করলেন ভারতীয় পুরুষ টেস্ট দলের অধিনায়ক কেএল রাহুল।
রবিবার প্রবল চাপের মধ্যে রাহুল বলেন, ‘(এরকম পরিস্থিতিতে) যারা খেলছে, তাদের উপর ভরসা রাখতে হয়। তবে বিশ্বাসটা বরাবর ছিল। আমরা যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি, যে অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝি যে ম্যাচ জেতানোর জন্য কেউ একজন এগিয়ে আসবে। তবে মিথ্যা বলব না ড্রেসিংরুমে টেনশন তৈরি হয়েছিল। আমরাও মানুষ। কিন্তু ক্রিজে যে ব্যাটাররা ছিল, তাদের উপর আমাদের ভরসা ছিল।’
মীরপুরের দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের জন্য ১৪৫ রানের দরকার ছিল ভারতের। কিন্তু সেই রানটা করতে গিয়েই শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল রাহুলের। ৭৪ রানে সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত অষ্টম উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং শ্রেয়স আইয়ারের অপরাজিত ৭১ রানের জুটি তিন উইকেট জিতে গিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার লড়াই টিকে থাকলেন বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্তরা।
সেই জয়ের পর শ্রেয়স (৪২ বলে অপরাজিত ২৯ রান) ও অশ্বিনের (৬২ বলে অপরাজিত ৪২ রান) প্রশংসা করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘নিজেদের ছন্দে ও সহজেই সেই কাজটা করেছে অশ্বিন এবং শ্রেয়স। ভারতকে জেতানোর জন্য ওরা দারুণ খেলেছে। আমরা কখনও ভাবিনি যে এটা সহজ জয় হবে। ভেবেছিলাম যে প্রতিটি রানের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
আরও পড়ুন: IND vs BAN: ভরসা ছিল রক্ষণে, ধসের মুখে দেওয়াল তুলে অশ্বিন হদিশ দিলেন দলের হার না মানা মানসিকতার
তবে তিন উইকেটে জিতলেও ভারতের ব্যাটিংয়ের যে কঙ্কালসার ছবিটা বেরিয়ে পড়েছে, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নিজেও লাগাতার ব্যর্থ হয়ে চলেছেন রাহুল। তা নিয়ে সাফাই গাইতে ছাড়েননি ভারতীয় অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘নয়া বলে পরিস্থিতি কঠিন ছিল। আমরা যতটা চেয়েছিলাম, তার থেকে বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম আমরা। আমরা ভুল করেছি। কিন্তু সেই ভুল থেকে শিখতে হবে আমাদের। যদি ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে আমরা ভালো খেলতে পারব বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: মীরপুরের কষ্টার্জিত হয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পথে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ভারতের
তারইমধ্যে ভারতীয় দলের বোলিং বিভাগের প্রশংসা করেছেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘গত ছয়-সাত বছরে আমাদের বোলিংয়ের গভীরতা নিয়ে খুশি। আমাদের পেস বোলারদের কীভাবে তৈরি করা হয়েছে, তা এই সিরিজ জয় থেকেই বোঝা যাচ্ছে। অশ্বিন এবং অক্ষরও (প্যাটেল) খুব ভালো খেলেছে। উমেশও (যাদব) দায়িত্ব নিয়েছে। দীর্ঘদিন জয়দেব (উনাদকাট) ফিরে এসেছে। কিন্তু দারুণ বল করেছে। যা উইকেট পেয়েছে, তার থেকে আরও বেশি উইকেট পাওয়ার যোগ্য ছিল। তবে ও যে চাপ তৈরি করেছিল, সেটার সুবিধা নিয়েছে অশ্বিন এবং অক্ষর।’
For all the latest Sports News Click Here