‘আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, আমি নির্মম চরিত্রের’, শেষ ম্যাচের আগে বললেন ঝুলন
ম্যাচটা আবেগের। সেই আবেগের বিস্ফোরণ থেকে নিজেকে দূরে রাখেননি। তবে মাঠে নামার সময় যাবতীয় আবেগ দূরে সরিয়ে রাখতে ভালোবাসেন বলে জানালেন ঝুলন গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘আমি পুরোপুরি নির্মম চরিত্রের মানুষ।’
শনিবার লর্ডসে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে টসের সময় মাঠে আসেন ঝুলন। তিনি বলেন, ‘আমায় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ আবেগ ভেসে গিয়ে ক্রিকেট মাঠে নামতে পারি না আমি। আমি পুরোপুরি নির্মম চরিত্রের মানুষ। সবসময় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে এবং নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে।’
(IND vs ENG: ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের লাইভ আপডেট দেখুন – ক্লিক করুন এখানে)
২০০২ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুনিয়ায় পা রাখেন ঝুলন। তবে শুরুটা যে কতটা কঠিন ছিল, তা সকলে সম্ভবত এতদিনে সবাই বুঝে গিয়েছেন। ফাঁকা মাঠে খেলতে হত ঝুলনদের। কালেভদ্রে ম্যাচ হত। প্রচারের আলোর থেকে তো সহস্র যোজন দূরে ছিলেন ঝুলনরা। তাঁর মতে, ২০১৭ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পর সেই ছবিটা শুরু করেছে। লর্ডসের মাঠে যে ফাইনালটা হাতের মুঠো থেকে হেরে গিয়েছিল ভারত।
শনিবার সেই লর্ডসেই দাঁড়িয়ে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে ঝুলন বলেন, ‘(আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের) প্রতিটি মুহূর্ত আবেগে পরিপূর্ণ ছিল। ২০১৭ সালের বিশ্বকাপে আমরা দুর্দান্তভাবে প্রত্যাবর্তন করেছিলাম এবং লড়াই করেছিলাম। প্রাথমিকভাবে আমাদের কেউ পাত্তা দেয়নি। কেউ ভাবেনি যে আমরা ফাইনালে যাব। আমরা যেভাবে টুর্নামেন্টে খেলেছিলাম, সেটা অন্য পর্যায়ের ছিল। সেখান থেকেই ভারতে ধীরে-ধীরে মহিলা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এখন আমাদের নিজেদের এগিয়ে চলার পথ আছে। ছোটো-ছোটো মেয়েদের আমরা ক্রিকেট খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারি এবং ক্রিকেটে কেরিয়ার তৈরির করার জন্য অনুপ্রাণিত করব আমরা।’
আরও পড়ুন: Jhulan Goswami and Harmanpreet Kaur: আর খেলবে না ‘ঝুলুদি’ – কেঁদে ফেললেন হরমন, নিয়ে আসলেন টসের সময়, ভাইরাল ভিডিয়ো
একনজরে ঝুলনের কেরিয়ার
- মহিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট: ৩৫৩।
- মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট: ২৫৩।
- মহিলা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট: ৪৩।
- মহিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক বল: ২২৬০.২।
- টেস্টে উইকেট সংখ্যা: ৪৪ (১২ টি টেস্ট খেলেছেন)।
- দ্বিতীয় সর্বাধিক একদিনের ক্রিকেটের ম্যাচ: ২০৪।
- আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার: ২০০৭ সাল।
- এশিয়া কাপ জয়: তিনবার।
- বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্স: ২০০৫ সাল এবং ২০১৭ সালের বিশ্বকাপে রানার্স-আপ।
For all the latest Sports News Click Here