আদৃত আমার গালে চুমু খাচ্ছে, এমন ছবিও বানানো হয়েছে, খুব রাগ হয়েছিল: সৌমিতৃষা
‘মিঠাই’ শেষ, তবে দর্শকমহলে এখনও কমেনি ‘মিঠাই’ আবেগ। মিঠাই, সৌমিতৃষা, উচ্ছেবাবু আদৃত সহ নানান কিছু নিয়ে আলোচনা চলছেই। তারই মাঝে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে নানান কিছু নিয়ে খোলামেলা আড্ডা দিলেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু।
‘মিঠাই’ শেষ, এখন এই সিরিয়ালকে কতটা মিস করছেন?
সৌমিতৃষা: ভীষণ মিস করছি। গত আড়াই বছরে ওটা আমার কাছে পরিবারের মতোই হয়ে গিয়েছিল। এই সময়টা আমি সৌমিতৃষা নয়, ‘মিঠাই’ হয়েই বেঁচেছি, ওই দিনগুলো কোনওদিনও ভুলতে পারব না। আর এখন আপাতত কাজটা কম, তাই আরও বেশি মনে পড়ছে। মন খারাপ তো হচ্ছেই।
দেব-এর মতো সুপারস্টারের নায়িকা হচ্ছেন, কতটা খুশি? শ্য়ুটিং-শুরু কবে?
সৌমিতৃষা: এই ছবি নিয়ে এখনই বেশি কিছু জানানোর অনুমতি নেই। শুধু এটুকু বলতে পারি, এটা আমার প্রথম ছবি, তাই আমি ভীষণ খুশি। অতনু স্যার (অতনু রায়চৌধুরী), অভিজিৎ স্যার (অভিজিৎ সেন) দেবদা (দেব), সকলেই ভীষণ ভালো, ট্যালেন্টেড মানুষ, ওঁদের নিয়ে আমি কীই বা বলতে পারি। এটা আমার কাছে আশীর্বাদ। অগস্ট থেকে ছবির শ্যুটিং শুরু হবে। শ্যুট হবে নর্থ বেঙ্গলে।
দেব, অভিজিৎ সেন, অতনু রায়চৌধুরীর সঙ্গে আলাপ কীভাবে?
সৌমিতৃষা: আসলে ওঁদের সকলের সঙ্গে আলাপটা একপ্রকার একসঙ্গেই হয়েছিল। জি-বাংলার সিরিয়াল করতাম, সেখান থেকেই আলাপ হয়। আর তিন বছর আগে অতনু স্যার একবার আমায় ডেকেছিলেন ছবির জন্য। তখন আমার বয়সটা আরও কম ছিল, উনি দেখে বললেন, ‘আরে তুই এত ছোট দেখে বুঝতে পারিনি তো। তোকে পরে একদিন ডাকব।’ আসলে আমি শাড়ি পরেছিলাম, তাই উনি প্রথমে বয়স বুঝতে পারেননি। আর সত্যিই উনি আজ ডাকলেন। (হাসি) আর এমন একটা সময় ডাকলেন, তখন আমারও সিরিয়ালটা শেষ হচ্ছে, তাই সব মিলিয়ে ভালোই হল।
সিনেমার প্রস্তাব আগে আর কি পেয়েছিলেন?
সৌমিতৃষা: এর আগে একটা ছবির প্রস্তাব এসেছিল, তবে সেটার শ্যুটিং জুনে শুরুর কথা ছিল। তখন আমার শরীরটা ঠিক যাচ্ছিল না বলে রাজি হইনি। আর তারপরই এটা এল। এতে সবকিছু এক্কেবারে পারফেক্ট মনে হল, তাই রাজি হয়ে গেলাম।
এই সিনেমায় সুযোগ পাওয়া নিয়েও নানান কথা হচ্ছে, ট্রোল হচ্ছে, কী বলবেন?
সৌমিতৃষা: ট্রোল হচ্ছে, কথা হচ্ছে মানে বুঝতে হবে আমি কাজ করছি। কাজ করলে তবেই আলোচনা হয়। তাই চাপ নিই না। বরং আলোচনা হচ্ছে যখন ভালোই হচ্ছে বলব। (হাসি)
মিঠাই নাকি সৌমিতৃষা মানুষ বেশি কাকে ভালোবেসেছেন বলে মনে হয়?
সৌমিতৃষা: মিঠাইকে তো মানুষ অবশ্যই ভালোবেসেছেন, তবে মানুষ সৌমিতৃষাকেও ভালোবেসেছেন। কোনও চরিত্র যখন হিট হয়, মানুষের আগ্রহ সেই চরিত্র নিয়েই থাকে। সেই চরিত্রটিই শুধু হিট হয়। তবে আমার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। আর এটাবুঝেছিলাম যখন মিঠি চরিত্রটা এল। যদি মিঠাইকেই শুধু দর্শক ভালোবাসতেন, তাহলে মিঠিকে ভালোবাসতে পারতেন না। সকলে কিন্তু মিঠিকেও ভালোবেসেছেন, একইরকম উন্মাদনা দেখেছি। আসলে দর্শক সৌমিতৃষাকে ভালোবেসেছেন। আমি অন্য চরিত্র করলেও আশাকরি তাতেও ভালোবাসা পাব।
আদৃতের সঙ্গে আপনাকে জড়িয়ে যে নানান কথা শোনা যাচ্ছে, কী বলবেন?
সৌমিতৃষা: কী যে বলি! ছোটবেলায় আমি ভাবতাম, অনিল কাপুর শ্রীদেবীর বিয়ে হয়ে গেছে, কাজল-শাহরুখের বিয়ে হয়েছে। আসলে জুটি হিট ছিল। আমার সঙ্গেও আদৃতকে জড়িয়ে এভাবেই লিঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। কিছু ইউটিউব চ্যানেল এগুলো তৈরি করে ফেলে। ছবি দিয়ে মশালাদার পোস্ট তৈরি করেন। শুধু আদৃত নয়, আগেও অনেকের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে। এগুলো নিয়ে তাই ভাবি না। তবে বাড়াবাড়ি হলে বিরক্ত লাগে। তখন প্রতিবাদ করি।
আদৃতের সঙ্গে আমার প্রথম থেকেই খুনসুটির সম্পর্ক। বিশ্বাস করুন, আমাদের প্রেম-বিচ্ছেদ কোনওদিনই কিছুই হয়নি। একজনের কেউ প্রেমে পড়লে, অপর বন্ধুকে জড়িয়ে নানান রটনার কোনও মানেই নেই! যদিও মানুষ হয়ত জুটিটাকে ভালোবেসে, কল্পনা করেই এগুলো করেন। খুব হাসি পায়। তবে খুব রাগ হয়েছিল যখন দেখেছিলাম কেউ আমার ছবির সঙ্গে অদৃত চুমু খাচ্ছে এমন কিছু জুড়ে বানিয়ে ফেলেছেন। তখন প্রতিবাদ করেছিলাম। বলেছিলাম, আপনি তো বেশে ভালো গল্প বানান মশাই, গল্প দিন তাহলে সৎ পথে খেটে খেতে পারবেন। কী যে বলি এদের…। (হাসি)
সিরিয়াল নাকি সিনেমা কোনটা বাছবেন?
সৌমিতৃষা: ভালোলাগার জায়গা দুটোই। সিরিয়াল আমায় পরিচিতি দিয়েছে, আর সিনেমায় আমি নিজেকে আরও প্রমাণ করতে পারব। ভবিষ্যতে যেমন সুযোগ আসবে সেভাবে কাজ করব। একটা কথা বলি আমি কিন্তু শ্রীদেবীর বড় ভক্ত।
সাক্ষাৎকারের পরবর্তী অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে…
For all the latest entertainment News Click Here