আদালতে আরিয়ান! ১৩ অক্টোবর অবধি হেফাজত চাইল NCB, উদ্ধার ড্রাগ ডিলাদের সঙ্গে চ্যাট
শনিবার রাতে মুম্বইয়ের কাছে আরব সাগরে ভাসমান এক প্রমোদ তরী থেকে আটক করা হয় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। রেভ পার্টিতে মাদক সেবনের অপরাধে আটক করা হয় তাঁকে। তারপর টানা ১৬ ঘণ্টা জেরার পর রবিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান ও তাঁর দুই বন্ধুকে। রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরফ থেকেও ১ দিনের এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ ছিল।
আজ সোমবার ফের একবার আদালতে হাজির হবেন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাকে। ১৩ অক্টোবর অবধি হেফাজত চাইছে NCB। ইতিমধ্যেই সোমবার সকালে ধৃতদের মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। সঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে সোয়াব স্যাম্পেলও।
সোমবার আদালতে আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুন ছাড়াও আরও ৬ ধৃতকে হাজির করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন আজ সকালেই। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার সময় তাঁর কাছ থেকে বেশ ভালো পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে বলেই আদালতকে জানিয়েছেনঅ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অনিল সিং।
আদালতের কাছে অনিল সিং জানান, ‘NCB-র পক্ষ থেকে আরিয়ানের ফোন আটক করা হয়েছে। সেখানে অনেক সন্দেহজনক চ্যাট আছে যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মাদক ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। তাই সকলকে একসঙ্গে বসিয়ে এনসিবি-র দফতরে জেরা করা খুব দরকার।’
অনিল জানান, হোয়াটস অ্যাপ চাটের থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, টাকা-পয়সা লেনদেনের কথাও হয়েছে সেখানে। এমনকী, বিদেশেও টাকা পাঠানো হয়েছে। সিং আদালতকে জানান, আরিয়ানের বিরুদ্ধে পাওয়া সব প্রমাণ NDPS অ্যাক্ট অনুসারে শাস্তিযোগ্য ও রিয়া চক্রবর্তীর কেস অনুসারে জামিন অযোগ্য অপরাধ। অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা খুব প্রয়োজন। কারণ, চ্যাট থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক নাম (code names) পাওয়া গিয়েছে, যা মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে চ্যাট করার সময় ব্যবহরা করা হত।
অন্য দিকে, আরিয়ানের পক্ষ থেকে আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে জানান, ‘ধৃতদের মধ্যে একমাত্র আরবাজকে আমি চিনি। যার কাছ থেকে ৬ গ্রাম চারস উদ্ধার হয়েছে। বাদবাকি কেউ আমার চেনা নয়। এজেন্সি কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করতে পারে না। আমার বা আমার আশেপাশের কারও থেকে এর বেশি কিছু পাওয়া যায়নি।’
For all the latest entertainment News Click Here