আথিয়া-আঙানকে ভারতীয় স্কুলে না পড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন সুনীলের? করলেন কারণ বিশ্লেষণ
দুই সন্তান আথিয়া শেট্টি ও আহান শেট্টিকে ছোট থেকেই আমেরিকান স্কুলে লেখাপড়া করিয়েছেন সুনীল শেট্টি। কেন ভারতীয় স্কুল ছেড়ে নিজের দুই সন্তানকে পাঠিয়েছিলেন অতদূরে! সম্প্রতি তা নিয়ে কথা বলেন পাপা সুনীল। জানান, তিনি জানতেন দুজনকে বাইরে পড়াশোনা করাতে তাঁকে অনেকবেশি পরিশ্রম করতে হবে। এমনকী সুনীলের বাবাও নাকি তাঁকে এই ব্যাপারে সাবধান করেছিলেন। তবে নিজের এই সিদ্ধান্তে তিনি ছিলেন বদ্ধ পরিকর। জানান কীভাবে ‘অনেক টাকা খরচ করে’ মানুষ করেন সন্তানদের।
১৯৯২ সালে বলওয়ান দিয়ে বলি ডেবিউ করলেও, সুনীল শেট্টিকে জনপ্রিয়তা এলে দেয় ১৯৯৪ সালের মোহরা। সেই বছর হিট হয়েছিল গোপি কিষানও। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে অ্যামাজন মিনি টিভি সিরিজ ‘হান্টার টুটেগা নেহি তোড়েগা’য়, যা দিয়ে ওয়েবের দুনিয়ায় পাও রাখেন তিনি।
সুনীলকে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়, শুরুর বছরগুলোতে যখন তাঁর সিনেমাগুলি সেভাবে চলছিল না। এবং চলচ্চিত্র সমালোচকরা ক্রমাগত তাঁর নিন্দা করে চলেছিল, সেই প্রভাব শুধু তার উপর পড়েনি, পড়েছিল তাঁর পরিবারের উপরেও। ‘আমি বাচ্চাদের কোন ভারতীয় স্কুলে পাঠাইনি। একটা আমেরিকান বোর্ডের স্কুল বেছেনি। যার ফ্যাকাল্টিও আমেরিকান। আমি চাইনি তারকা সন্তান হিসেবে স্কুলে কেউ ওদের সঙ্গে বিশেষ আচরণ করুক বা ওদের সঙ্গে কথা বলার সময় কারও মাথায় আসুক ওরা কার সন্তান। আমি চেয়েছিলাম ওরা এমন জগতে গিয়ে নিজের পরিচিতি বানাক যেখানে কেউ ওদের চেনে না। আর আমার মনে হয় সেটা ওদের জন্য কাজও করেছে। মনে আছে আমার বাবা আমাকে সাবধান করে দিয়ে বলেছিল, ‘অনেক টাকা লেগে যাবে কিন্তু।’, বলতে শোনা গেল সুনীলক।
প্রসঙ্গত, বাইরের স্কুলে পড়াশোনা করলেও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আথিয়া আর অহনা দুজনেই পা রেখেছেন বলিউডে। নিখিল কামাথকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ব্যাপারেও কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘আথিয়াকে ভর্তি করার জন্য আটলান্টায় গিয়েছিলাম। সে কলেজ দেখেল, সবকিছু করা লাগল। ভালো লেগেছে বলল, ভর্তি করা হল। ফেরার পথে বিমানবন্দরে আমাকে বলল, ‘তুমি জানো বাবা এটা করে আমি সত্যি খুশি নই।’ আমি জানতে চাইলাম, ‘তুমি কি করতে চাও?’ তাতে ও বলে, ‘আমি সিনেমা আর বিনোদনের ব্যবসায় থাকতে চাই।’ আমি তখন ওকে বুঝিয়ে বলি, ‘বাবু এটা খুব সুন্দর জায়গা। কিন্তু তুমি কি ব্যর্থতা মেনে নিতে পারবে? খুব চাপের এটা মেনে নেওয়া। যেই চাপ প্রতিবারই আমাকে মেরে ফেলার মতো অবস্থা হয়। শুক্রবারের উদ্বেগগুলো বিশেষ করে।’
১৯৯১ সালের ২৫ ডিসেম্বরে মানা শেট্টির সঙ্গে সুনীল শেট্টি গাঁটছড়া বাঁধেন। আথিয়া সলমনের বিপরীতে হিরো দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন বলিউডে। আর আহানের ডেবিউ তড়প দিয়ে। দুটি সিনেমাই সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি দর্শক মনে।
For all the latest entertainment News Click Here