আত্মহত্যা করলেন PSL-এর টিম সুলতান মুলতানসের কর্ণধার
পাকিস্তান ক্রিকেটে হঠাৎ-ই নতুন চাঞ্চল্য। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসা নিয়ে টানাপোড়েন তো রয়েছেই। তবে এবার ঘটনা একেবারে আলাদা। মুলতান সুলতানসের মালিক ৬৩ বছরের আলমগির তারিন লাহোরে আত্মহত্যা করেছেন। তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
আলমগির ২০১৮ সালে পিএসএলের মুলতান সুলতানস ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে লাহোরের গুলবার্গ এলাকায় তাঁর বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আলমগির তারিনকে। পুলিশ জানিয়েছে যে, একটি হাতে লেখা নোট পাওয়া গিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর খবর ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মুলতান সুলতানসের তরফে টুইটারে একটি বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে, আমরা আমাদের প্রিয় দলের মালিক আলমগির খান তারিনের মৃত্যুর খবরটি শেয়ার করছি। মিস্টার তারিনের পরিবারের জন্য আমরা প্রার্থনা করব। আমরা আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি, তাঁর পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য। তাঁর আত্মা শান্তি পাক।’
আরও পড়ুন: ব্রডের সুইট সিক্সটিন! এই নিয়ে ষোলো বার ওয়ার্নারকে আউট করলেন ইংরেজ তারকা- ভিডিয়ো
লাহোর কালান্দার্স, যারা তারিনের সুলতানসের বিরুদ্ধে এই বছর শিরোপা জিতেছে, তারাও শোক বিবৃতি জারি করেছে। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘লাহোর কালান্দার্স ম্যানেজমেন্ট জনাব আলমগীর তারিনের মৃত্যুর খবর শুনে মর্মাহত এবং দুঃখিত। এটি বড় ক্ষতি। এবং ক্রিকেট মহলে একটি শূন্যতা তৈরি করবে। আমরা ওঁর পরিবার এবং মুলতান সুলতানসের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে পাশে রয়েছি। ওঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক।’
আলমগির তারিন তাঁর ভাইপো আলি খান তারিন, যিনি আবার প্রভাবশালী পাকিস্তানি ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ জাহাঙ্গীর তারিনের ছেলে, তাঁর সঙ্গে ২০১৮ সালে সুলতানস ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা কিনেছিলেন। তারিন পরিবারের শিকড় রয়েছে দক্ষিণ পঞ্জাবে। যার রাজধানী মুলতান।
আরও পড়ুন: গলি থেকে রাজপথ- ধার করা ব্যাটে সেঞ্চুরি থেকে জাতীয় দলে সুযোগ, লড়াইটা খুব কঠিন ছিল তিলকের
আলমগির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি দক্ষিণ পঞ্জাবের একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ছিলেন এবং পাকিস্তানে জল শুদ্ধকরণ প্ল্যান্টের একটির মালিক ছিলেন তিনি।। সুলতানসের ওয়েবসাইট তাঁকে একজন ক্রীড়া উত্সাহী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি উঠতি প্রতিভা এবং মহিলাদের জন্য একটি শক্ত প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন এবং তাঁদের দক্ষতা আরও বিকাশের জন্য তাদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম সংস্থান সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন।
সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু তাঁর এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় ধোঁয়াশা। আত্মহত্যার মতো রাস্তা তাঁকে বেছে নিতে হল কেন, সেটা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না। কোনও রকম আর্থিক ক্ষতি বা হুমকির মুখে পড়েছিলেন কি না, সেটাও জানা যায়নি। শুরু হয়েছে তদন্ত।
For all the latest Sports News Click Here