আগ্রাসনের নিশানায় ছিলেন না, তাও যেচে গায়ে মেখে সরফরাজের কেরিয়ার বরবাদ করেন চেতন?
গত মরশুমের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হয়েছে। পরপর দুই বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও জিততে পারেনি ভারত। আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র শুরু হতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। ওভালে ফাইনাল ম্যাচে হারের পর জাতীয় টেস্ট দল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অনেক ক্রিকেটারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
তবে আসন্ন ক্যারিবিয়ান সফরে ভারতী দলে জায়গা পাননি সিনিয়র ব্যাটার চেতেশ্বর পূজারা। একই সঙ্গে দলে জায়গা পাননি তরুণ উঠতি ক্রিকেটার সরফারাজ খানও। তা নিয়ে ভারতের ক্রিকেট মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে রানের মধ্যে রয়েছেন সরফারাজ। তারপরও দলে তাঁর জায়গা না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নর তির উঠেছে নির্বাচকদের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে শেষ ৫০টি ম্যাচে সরফরাজ খানের ব্যাটিং গড় যেকোনও ভারতীয় ক্রিকেটারকে লজ্জায় ফেলে দেবে। তাঁর রঞ্জি দল মুম্বইয়ের হয়ে পরপর ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন। এর আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে তাকে দলে না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল। ফের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও দলে না দেখায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এইবার তাঁর দলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক। তিনি জানান, সরফরাজকে দলে না নেওয়ার পিছনে কোনও পারফরম্যান্স সংক্রান্ত কারণ নেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা জানান, ‘মাঠ এবং মাঠের বাইরে সরফরাজের ফিটনেস এবং তাঁর শৃঙ্খলা গত কিছু কারণের জন্য দলে জায়গা দেওয়া হয়নি।’ এই বছরের জানুয়ারিতে দিল্লির বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর সরফরাজের উদযাপন করার ভঙ্গি নজর কাড়ে সবার।
মুম্বাইয়ের এই ব্যাটার সেঞ্চুরি করার পর মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশের দিকে ছুড়ে গর্জন করতে থাকেন। তারপর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে তিনটি আঙুল দেখিয়ে উদযাপন করতে থাকেন।ভারতীয় বোর্ডের ওই আধিকারিক অভিযোগ করেন, ওই আঙুল দেখানোটা আসলে নির্বাচকদের প্রতি কিছু আপত্তিজনক বার্তা। তবে ক্রিকেটারের ঘনিষ্ঠ মহল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে ওই উদযাপনের লক্ষ্য নির্বাচকরা ছিলেন না। সতীর্থদের উদ্দেশ্যে তিনি সেই উদযাপন করেছেন।
সরফরাজ ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেন, ‘দিল্লির রঞ্জির ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর ওই উদযাপনটি সরফরাজ করেছিল তাঁর সতীর্থ এবং কোচ অমল মজুমদারের উদ্দেশ্যে। উপস্থিত নির্বাচক সলিল আনকোলা, চেতন শর্মার প্রতি কোনও ভঙ্গি বা বার্তা ও দেয়নি। সরফরাজ দলকে চাপের পরিস্থিতি থেকে বের করে আনে। তাই ঐরকম ভাবে সেলিব্রেশন করে ও।’
For all the latest Sports News Click Here