আগে ‘গালাগালি খেতাম’, ঝরঝরে বাংলা বলতে পারতাম, ‘কোচ’ সুব্রতের সামনে বললেন সুনীল

পাক্কা ২১ বছর আগে শ্বশুর সুব্রত ভট্টাচার্যের কোচিংয়ে এই ক্লাব থেকেই পেশাদারি ফুটবল জীবন শুরু করেন। তারপর কাঁপিয়েছেন কলকাতার ময়দান। দেশের জার্সি গায়ে তেরঙা উড়িয়েছেন। দেশের অধিনায়ক হয়েছেন। তবে ভোলেননি মোহনবাগানকে। আর ‘মোহনবাগান দিবস’-র সন্ধ্যায় গঙ্গাপারের ক্লাবের তাঁবু মাতিয়ে তুললেন সেই সুনীল ছেত্রী। ক্লাবে হাজির থেকে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের হৃদকম্পন বাড়িয়ে তুললেন। সেইসঙ্গে বাংলায় কথা বলে মোহনবাগান সমর্থকদের তো বটেই, আপামর বাঙালির মন জিতে নিলেন বর্তমানে পুরুষদের ফুটবলে বিশ্বের সর্বকালীন চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা। ভাঙা-ভাঙা বাংলায় আবার মজা করে সুনীল জানালেন, স্ত্রী সোনম (সুব্রতের মেয়ে) বলে দিয়েছেন যে মোহনবাগান দিবসে বাংলায় কথা বলতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন চর্চা না থাকায় আগের মতো চটপট বাংলা বলতে পারেন না। মজার ছলে হাসতে-হাসতে সুনীল বলে দেন, ‘ওই টাইমে ভালো করে বাংলা বলতে পারতাম। ওই টাইমে গালাগালি খেতাম, বাংলা জানতাম। এখন ট্রেনিং শেষ হয়ে গিয়েছে।’ 

আরও পড়ুন: পঞ্জাবি-পাজামা পরে অন্য মেজাজে সুনীল ছেত্রী! ভারতীয় দলের অধিনায়ক যখন বাংলার জামাই

শনিবার মোহনবাগানে এসে সুনীল বলেন, ‘প্রথমত, নমস্কার, কেমন আছেন সবাই? দ্বিতীয়ত, ভালো করে বাংলা বলতে পারি না। কারণ অনুশীলন শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রচুরদিন গালাগালি খাইনি। সেজন্য বাংলা (একটু দুর্বল হয়ে গিয়েছে)। সোনম আমায় বলেছে যে ওখানে গিয়ে প্লিজ বাংলায় কথা বলতে চেষ্টা করবে। তাই পরবর্তী পাঁচ মিনিট আমি বাংলায় বলতে চেষ্টা করব। যদি আমি খেই হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমি ইংরেজিতে কথা বলব (ইংরেজিতে)। আমায় ক্ষমা করে দেবেন (ইংরেজিতে)।’

আরও পড়ুন: AFC Asian Cup: ISL-এর মান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াই সম্ভব নয়- কোচের এক মাসের শিবিরের দাবিতে সহমত সুনীলও

সেইসঙ্গে নিজের শ্বশুর, দ্রোণাচার্য এবং পেশাদারি জীবনের প্রথম কোচ সুব্রতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন সুনীল। তিনি বলেন, ‘এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আমি সবসময় শুনেছি যে বাবুলদা (সুব্রত ভট্টাচার্য) দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিলেন। উনি এরকম ছিলেন, ওরকম ছিলেন। কিন্তু আমি তো তখন জন্মাইনি। ওই সময়ের বেশি ভিডিয়োও নেই। আমি দুঃখিত যে সেইসময় আমি কিছু বলতে পারব না।’ 

সেইসঙ্গে ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আমি শুধু একটা জিনিস একটা বলতে চাই, ২০০২ সালে প্রথমবার এই মাঠে এসেছিলাম। আমি দিল্লি থেকে এসেছিলাম। আমি জানতাম না, মোহনবাগানে খেললে কী হয়, এটা আমার মায়ের ক্লাব, জার্সির এরকম অনুভূতি আছে, ফুটবল খেলতে হবে। দুঃখ হলে ফুটবল খেলতে হবে। মন ভালো থাকলে ফুটবল খেলতে হবে। সব ছেড়ে দে, শুধু ফুটবলের জন্য ভাবতে হবে। এসব আমি কিছু জানতাম না। যে মানুষটা আমায় এসব কিছু শিখিয়েছেন, তিনি হলেই এই মানুষটি (সুব্রতের দিকে আঙুল দেখিয়ে)।’

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.