আগে অত্যাচার সহ্য করত মেয়েরা, ডিভোর্স নিয়ে স্পষ্টবাক নীনা

নীনা গুপ্ত ঘটকের কাজ করতে চান? তিনি মানুষকে তাঁর জীবনসঙ্গী খুঁজে দিতে চান? সত্যি? তাহলে বলি হ্যাঁ, এমনটাই অন্তত জানিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার মাসাবা গুপ্ত। এই বিষয়ে অভিনেত্রী তথা মাসাবা গুপ্তর মা নীনা গুপ্ত কী বললেন? তাঁর কথা অনুযায়ী, তিনি একজন মায়ের মতোই রিঅ্যাক্ট করেছেন মেয়ের কথায়। একটি সাক্ষাৎকারে নীনা জানান যে তাঁর অন্যতম স্বপ্ন হল মেয়ে মাসাবার বিয়ে দেখা। চলতি বছরের শুরুর দিকে মাসাবাকে বলতে শোনা যায় যে তাঁর মা এখন পুরোদমে ‘সীমা টাপারিয়া’ মোডে আছেন তাঁকে বিয়ের দেওয়ার জন্য। মেয়ের বিয়ের প্রসঙ্গ ছাড়াও অভিনেত্রীকে ডিভোর্সের বিষয় নিয়েও এই সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়। তিনি জানান ইদানিংকালে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে কারণ মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে পেরেছে।

২০১৫ সালে মাসাবা ব্যবসায়ী মধু মন্টেনাকে বিয়ে করেন। কিন্তু চার বছর পর তাঁদের সেই বিয়ে ভেঙে যায়, এবং তাঁরা আলাদা হন। বর্তমানে তিনি অভিনেতা সত্যদীপ মিশ্রর সঙ্গে একটি সম্পর্কে আছেন। সম্প্রতি তাঁর জন্মদিনে মাসাবা ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু পোস্ট করেছিলেন। সেখানে ক্যাপশনে একটি অংশে তাঁকে লিখতে দেখা যায় যে, ‘এই বহির্বিশ্বে আমি যা যা অর্জন করেছি তা কখনও এসেছে, কখনও চলে গিয়েছে। কিন্তু এই একটা জিনিস যা একমাত্র থেকে গিয়েছে।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নীনা গুপ্ত বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ মায়ের মতোই রিঅ্যাক্ট করেছি, ওকে মানুষ করেছি। যখন মায়েরা তাঁদের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যায় তখন তাঁরা তাঁদের সন্তানকে কবিতা আবৃত্তি করতে বলেন, বা কিছু একটা করে দেখাতে বলেন। কিন্তু মাসাবা যখন ছোট ছিল আমি ঠিক করেছিলাম এগুলো কিছুই করব না। কিন্তু আদতে আমি সব কিছুই করেছি। ও যা যা পারে, ওর যা গুণ আমি বারবার সবার সামনে সেটা তুলে ধরেছি। মায়েরা তো এমনই হয়। আর ওকে বিবাহিত দেখা হচ্ছে আমার তেমনই একটি ইচ্ছে যেমনটা আর পাঁচটা মা চান।’

তবে বিয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আজকাল বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে গেলেই অনেকে এটাকে খারাপ, অপ্রয়োজনীয় বলে দেগে দেন। কিন্তু আমি মনে করি এটা এখনও জরুরি। বিয়ের বিকল্প কিছু হতে পারে বলে আমি মনে করি না। তবে বর্তমান সময়ে মেয়েরা স্বাধীন হয়েছে, তাঁরা স্বামীর থেকে হাত পেতে কিছু নিতে চায় না। নিজের খরচ নিজে বহন করতে পারে, আর সেই কারণেই এখন ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। আগে কিছু করার থাকত না, বরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো, অত্যাচার সহ্য করতে হতো। তবুও আমি এখনও বিশ্বাস করি বিভিন্ন কারণে বিয়ে ভীষণ জরুরি একটি প্রতিষ্ঠান। এটার বিকল্প হয় নাম তাই আমি গোটা বিষয়টা নিয়ে বেশ দ্বন্দ্বে ভুগি।’

চলতি বছরের শুরুর দিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মাসাবা জানিয়েছিলেন যে তাঁর যখন ২৫-২৬ বছর বয়স তখন থেকেই তাঁর মা তাঁকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘ আমি তখন কোনও ছেলের সঙ্গে মিশিনি। কথা বলিনি। আর আমার মা ভাবতে শুরু করল যে আমি বোধহয় আর বিয়ে করব না, সারাজীবন এভাবেই কাটিয়ে দেব। মায়ের আমার জন্য এমন ছেলে পছন্দ ছিল যে ভালো পরিবার থেকে আসবে, ভালো রোজগার করবে এবং আমায় ভালো রাখবে। মা তখন পুরো সীমা টাপারিয়া মোডে ছিল!’

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.